উন্নাওয়ের তরুণীর নারকীয় হত্যাকাণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছে দেশকে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার সময়েই উন্নাওয়ের সেই তরুণীর উপর চড়াও হয়েছিল পাঁচজন। তার মধ্যে দু’জন ছিল ধর্ষণে অভিযুক্ত। বেধড়ক মেরে দু’পা ভেঙে দিয়ে, গলায় ছুরির কোপ বসিয়ে, তরুণীর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। জ্বলন্ত অবস্থাতেই বাঁচার জন্য প্রায় এক কিলোমিটার ছুটেছিলেন তরুণী। ৯০ শতাংশ দগ্ধ শরীর নিয়ে নির্যাতিতা তরুণীর জীবনের লড়াই থেমে গেছে গত শুক্রবারই। এবার ফের সেই ঘটনা ঘটল সেই উত্তরপ্রদেশেই। তরুণীকে যৌন নির্যাতনের পরে হুমকি দেওয়া হল, “থানায় গেলে আরেকটা উন্নাও হবে। জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেব”।
রাস্তা থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করছিল জনা পাঁচজন। কিশোরী চিৎকার করে উঠলে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছিল। নির্যাতিতার অভিযোগ, পরে ফিরে এসে অভিযুক্তরা তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। চুলের মুঠি ধরে বলে, “থানায় গেলেই আর একটা উন্নাওয়ের মতো ঘটনা ঘটে যাবে। রাস্তায় ধরে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেব।” ঘটনাস্থল সেই উত্তরপ্রদেশ!
কানপুরের বাসিন্দা ওই কিশোরী আরও জানিয়েছে, আগেও তার উপর নির্যাতন চালিয়েছিল ওই দুষ্কৃতীরা। ভয়েতে পরিবারকে কিছু বলতে পারেনি সে। দিনকয়েক আগে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে সে যখন বাড়ি ফিরছিল ফের তার রাস্তা আটকায় ওই যুবকরা। রাস্তার মাঝেই তার শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে। পরে তাকে টেনে হিঁচড়ে একটা বাড়ির মধ্যে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। কিশোরীর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যায় তারা।
পুলিশ সুপার অপর্ণা গুপ্ত বলেছেন, ওই কিশোরী দীপক যাদৌ নামে এক অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছে। দীপকই তাকে হুমকি দেয়, পুলিশে অভিযোগ জানালে উন্নাওয়ের নির্যাতিতা তরুণীর মতোই দশা হবে তার। জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হবে। কিশোরীর আরও অভিযোগ, শুধু তাকেই নয়, তার পরিবারকেও হুমকি দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তার বাড়ির লোকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও পুলিশকে জানিয়েছে ওই কিশোরী।