সোমবার সংসদে নাগরিকত্ব বিল পেশের বক্তৃতা শেষ হয়েছে কি হয়নি, খড়্গপুরের সরকারি সভা থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চড়া সুরে আক্রমণ শানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোজাসুজি বলে দিলেন, ‘আসুন জোট বাঁধি। একটা লোককেও দেশ ছাড়া হতে দেব না।’
খড়্গপুর সদরের উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল এদিন সেখানে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। দীঘায় বাণিজ্য সম্মেলনে যাওয়ার পথেই রেলশহরে যান মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এনআরসি আর নাগরিকত্ব সংশোধন বিল – দুটোই কয়েনের এপিঠ-ওপিঠ। কিন্তু আপনারা ভয় পাবেন না। আমরা থাকতে কারও ক্ষমতা নেই কাউকে ওরা দেশ ছাড়া করবে।’
https://www.facebook.com/ekhonkhobor18/videos/2826434890711765/
প্রশ্ন তুলে মমতা এদিন বলেন, ‘আমাদের ভোটার কার্ড আছে, আধার কার্ড আছে, রেশন কার্ড আছে। তাহলে আবার কিসের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে? ওরা মানুষের মধ্যে ভাগাভাগি করতে করতে চাইছে। আমরা বলছি কোনও ডিভাইড অ্যান্ড রুল চলবে না। বাংলায় আমরা এসব করতে দেব না। মানুষকে আগে রেশন দিন, তারপর ভাষণ দেবেন।’ এমনিতে খড়্গপুর শহরকে অনেকেই মিনি ভারতবর্ষ বলেন। দেশের প্রায় সব অংশের মানুষের বাস। এদিন মমতা আসামের এনআরসি টেনে বলেন, ‘ওরা আসামে কাউকে বাদ দিচ্ছে না। বিহারি, গোর্খা, বাঙালি কাউকে বাদ দিচ্ছে না।’
লোকসভার নিরিখে খড়্গপুর সদর বিধানসভায় ৪৫ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ছ’মাসের মধ্যে সেই কেন্দ্রেই ওই ব্যবধান মুছে দিয়ে ২০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন তৃণমূলের প্রদীপ সরকার। সন্দেহ নেই উপনির্বাচনে শাসকদলের বিপুল জয় ধাক্কা খাওয়া মনোবলে নতুন করে অক্সিজেন জুগিয়েছে। এদিন মমতা বলেন, ‘খড়্গপুরের মানুষ আমাদের সমর্থন করেছেন। আমরাও এবার এখানে যা যা করার করব।’ তাঁর কথায়, ‘আমায় প্রদীপ বলেছে, এখানে আইসিইউ দরকার। আমি আজ এখানে কথা দিয়ে গেলাম ২০২০ সালের মার্চের মধ্যে ১০টি বেডের আইসিইউ করে দেওয়া হবে।’ স্থানীয় একটিস্টেডিয়ামের গ্যালারি নির্মাণের জন্য পাঁচ কোটি টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি।