বাংলার ক্রিকেট টিমের মধ্যে মান-অভিমানের পালার রেশ চলছিল। সেই পালার মধ্যেই দুদিন আগে দলে যোগ দিয়েছিলেন দলের অন্যতম পেসার অশোক দিন্দা। উল্লেখ্য, সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টে বাদ পড়ার পর দিন্দা জানিয়েছিলেন, তিনি আর বাংলার হয়ে খেলবেন না। সিএবি সচিব অভিষেক ডালমিয়ার অনুরোধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দিন্দা ফের বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলার ব্যাপারে মনস্থির করেছেন। সেই হিসেবে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেন তিনি। আর এই ম্যাচে প্রথম দিনই চেনা ছন্দে অশোক দিন্দা। রবিবার ইডেনে দিনের শেষে তাঁর ঝুলিতে তিন উইকেট। তাঁর পরিসংখ্যান, ৪-১-২৫-৩। গত আট বছরে তিনিই যে এই রাজ্যের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই।
মধ্যপ্রদেশের অধিনায়ক নমন ওঝা তাঁর আউটসুইংয়ের বিরুদ্ধে কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। যা দেখে আপ্লুত বাংলার কোচ অরুণ লাল। দিন্দার সুইং দেখে অরুণ বললেন, ‘‘এ রকম উইকেট থাকলে ডিন্ডার মতো বোলারকে আটকানো কঠিন। ও বাংলার সম্পদ। এই ছন্দেই ওকে চেয়েছি।’’ যোগ করেন, ‘‘কিন্তু প্রত্যেক ম্যাচে এ রকম উইকেট পাওয়া যাবে কি না জানি না। উইকেট থেকে পেসাররা সুবিধা পেলে ডিন্ডাই হয়ে উঠবে আমাদের অস্ত্র।’’ এই কোচের সঙ্গেই দূরত্ব রেখে মাঠে ফিরেছিলেন দিন্দা। এদিন তাঁর পারফরম্যান্সের সুবাদে কোচের গলাতেই শোনা গেল দিন্দা-বন্দনা।
তবে বাংলার ব্যাটিং নিয়ে যদিও সন্তুষ্ট নন কোচ। ভিভিএস লক্ষ্মণের প্রশিক্ষণে দীর্ঘ আট দিন ক্লাস করার পরে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট বাংলা। জবাবে মধ্যপ্রদেশের স্কোর ৪৫-৪। লক্ষ্মণকে ব্যাটিং বিশেষজ্ঞ হিসেবে আনা হয়েছিল বাংলা টিমে। টানা ৮ দিন তাঁর তত্ত্বাবধানেই প্র্যাকটিস চালায় সুদীপ, ঈশ্বরনরা। কিন্তু লক্ষ্মণ ফিরে যেতেই ব্যাটিং বিপর্যয় ফিরে এসেছে বাংলা শিবিরে।