৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া শরীর নিয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই লড়ছিলেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা। পোড়ার যন্ত্রণা নিয়ে চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টা ব্যর্থ করে গতকাল রাতে ১১টা ৪০ মিনিটে মারা গেলেন তিনি। তবে মৃত্যুর আগে নিজের পরিবারকে বছর তেইশের যুবতী বলেছিলেন, ‘মরতে চাই না এখনই, দেখে যেতে চাই ধর্ষকরা ফাঁসিতে ঝুলছে।’ কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণ হওয়ার আগেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।
গতকাল রাতে দিল্লীর সফদরজঙ্গ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে উন্নাওয়ের অগ্নিদগ্ধ নির্যাতিতা তরুণীর৷ হাসপাতালে ৪০ ঘণ্টা লড়াইয়ের পর মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ভয়াবহ মৃত্যুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত বাঁচতে চেয়েছিলেন সেই তরুণী। নির্যাতিতার ভাই জানান, “ও বলেছিল, আমাকে মরতে দিও না। আমাকে বাঁচিয়ে নাও। যাঁরা আমার সাথে এটা করেছে, তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেখে যেতে চাই”। মৃতার পরিবারের সদস্যরাও ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডই চাইছেন।
গতবছর উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের একটি গ্রামে গণধর্ষণ করা হয় বছর তেইশের ওই যুবতীকে। সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল। স্থানীয় আদালতের নির্দেশে গ্রামেরই দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও সে কিছুদিনের মধ্যেই জামিনও পেয়ে যায়। জামিন পেয়েই বদলা নেওয়ার চেষ্টা করে সেই অভিযুক্ত।
গত বৃহস্পতিবার এই মামলা সংক্রান্ত তথ্য দিতেই আদালতে যাচ্ছিলেন নির্যাতিতা। সেসময় তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় ওই ধর্ষকরাই। শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পোড়া অবস্থাতেই এক কিলোমিটার দৌড়ে পুলিশের কাছে যান ওই নির্যাতিতা। পুলিশ তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে।