বাংলার মানুষ যেমন ময়দানের দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে থাকে, তেমনই বিশ্বের নানা প্রান্তে এমনই কিছু প্রতিদ্বন্দ্বী আছে। যাঁদের লড়াই মানুষ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেন। সেই বিচারে দুই ম্যাঞ্চেস্টারের ডার্বি নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে দুই দলের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। ১৫ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট ঘরে তুলে এই মুহূর্তে লিগ তালিকায় তৃতীয় স্থানে সিটি। সমসংখ্যক ম্যাচে ২১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ষষ্ঠ ইউনাইটেড।
গত দু’বার প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিটি। কিন্তু এবার পেপের দলের ধারাবাহিকতায় সমস্যা রয়েছে। গ্যাব্রিয়েল হেসাস-রহিম স্টার্লিংরা প্রাপ্ত সুযোগ সেভাবে সদ্ব্যবহার করতে পারছেন না। পাশাপাশি ডিফেন্ডারদের মধ্যেও মনঃসংযোগের অভাব সুস্পষ্ট। ১৫টি ম্যাচে ১৭ গোল হজম করাই তার প্রমাণ। তবে ঘরের মাঠ ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে আয়োজিত ডার্বিতে কিছুটা এগিয়ে থেকেই শুরু করবে সিটি। কারণ, ইউনাইটেড এবার যথেষ্ট ম্যাড়ম্যাড়ে।
গত ম্যাচে হোসে মরিনহোর প্রশিক্ষণাধীন টটেনহ্যাম হটস্পারকে হারালেও ওলে গানার সোলকজারের দলে অনেক খামতি রয়েছে। তবু মার্কাস র্যাশফোর্ডকে নিয়েই সিটি বধের পরিকল্পনা করছেন ম্যান ইউ কোচ। কিন্তু শনিবার গ্যাব্রিয়েল হেসাসরা ছন্দে ফিরলে তা কি রোখার ক্ষমতা রয়েছে বিসাকা-লিন্ডেলফদের? এদিন অনুশীলনে সিচুয়েশন মুভমেন্ট নিখুঁত করার দিকে জোর দিয়েছিলেন পেপ গুয়ার্দিওলা। কেভিন ডি ব্রুইনের সঙ্গে গ্যাব্রিয়েল হেসাসের বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্য দু’জনের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে।