বছর খানেক আগেই সৌরভ-শাস্ত্রীর অন্তর্দ্বন্দ্ব ভারতীয় ক্রিকেট মহলে চর্চার বিষয় ছিল। ওঁদের সম্পর্ক ভালো নয় সেটা সবার অবিহিত। ২০১৬ সালে ‘টিম ইন্ডিয়া’র কোচ নির্বাচন ঘিরে দু’জনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তাই বিসিসিআই-এর সভাপতি পদে সৌরভ আসার পরই এক নতুন জল্পনা চলছিল। সেই ‘খারাপ সম্পর্কে’-র জেরে কি কোচ পদ খোয়াতে পারেন রবি শাস্ত্রী? কিন্তু সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলে মহারাজ শুক্রবার শহরে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘এটা অনেকের অনুমান। এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কেউ যদি ভালো পারফর্ম করে, তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমিও যখন খেলতাম, তখনও একই নিয়ম ছিল। তাই অনেকে অনেক কথা বলবেন, তাতে কান দেওয়ার দরকার নেই। বাইশ গজে ভালো পারফর্ম করার দিকেই নজর দেওয়া দরকার।’
পাশাপাশি, ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সৌরভ। তিনি জানিয়েছেন, ‘বিরাট তরুণ প্রজন্মের রোল মডেল। শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও ওকে অনেকে ফলো করে। বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার পর বলেছিলাম, ভারতীয় দলের সাফল্যের জন্য বিরাট, রবির যাবতীয় চাহিদা মেটানো হবে।’ আগামী বছর অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে টি-২০ বিশ্বকাপে বিরাট কোহলিদের খোলা মনে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দিয়েছেন সৌরভ।
বোর্ড সভাপতি হিসাবে সৌরভ গাঙ্গুলির মেয়াদ শেষ হবে জুলাইয়ে। তবে সংবিধান সংশোধনের জন্য ফের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে বিসিসিআই। এই প্রসঙ্গে সৌরভ বলেছেন, ‘আদালতে আবেদন জানানোর অধিকার রয়েছে সবার। আমরাও সেই পথেই হেঁটেছি। সুপ্রিম কোর্ট যদি আমাদের আবেদন সাড়া দেয়, তাহলে তিন বছর সভাপতি হিসেবে কাজ চালাতে পারব। না হলে দশ মাস পর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেব।’
মহেন্দ্র সিং ধোনির ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে সৌরভ বলেছেন, ‘ধোনি মহান ক্রিকেটার। ওকে নিয়ে সব কথা সবার সামনে বলা উচিত নয়। আমরা ওর সঙ্গে আলোচনা করেছি। ভারতীয় ক্রিকেটে ধোনির অবদান কখনও ভোলার নয়। আগেও বলেছি, ধোনির উপরই সব কিছু নির্ভর করছে। সিদ্ধান্ত ওকেই নিতে হবে।’