লাল-হলুদ কোচ আলেহান্দ্রো সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বলে দোভাষী, ম্যানেজারদের নিয়ে লুধিয়ানা পৌঁছে গিয়েছিলেন শুক্রবার দুপুরেই। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের বাকিদের দিল্লীতে আটকে থাকতে হল বিমান এবং ট্রেন বিভ্রাটে।
পরপর ম্যাচ বলে শুক্রবার সকালে অনুশীলনে ছুটি দিয়েছিলেন আলেহান্দ্রো। স্পেনীয় কোচ বিমানে আগেই চলে যান লুধিয়ানায়। কিন্তু ফুটবলারদের সূচী ছিল অন্য। দিল্লী থেকে ট্রেনে করে অভিষেক আম্বেকরদের যাওয়ার কথা ছিল পঞ্জাবে। দমদম বিমানবন্দর থেকে সকাল দশটার বদলে বিমান ছাড়ে পঁয়তাল্লিশ মিনিট দেরিতে। দিল্লী পৌঁছে কাছাকাছি একটি হোটেলে খেতে যান সামাদ আলি মল্লিক, পিন্টু মাহাতোরা। তারপর তারা রওনা হন স্টেশনের দিকে। বিকেল সাড়ে চারটেয় শতাব্দী এক্সপ্রেসে পুরো দলের টিকিট কাটা ছিল। বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকা দলের সহকারী কোচ বাস্তব রায় দিল্লী থেকে ফোনে বললেন, ‘‘প্রচন্ড যানজট ছিল। ফলে আমরা স্টেশনে পৌঁছনোর আগেই ট্রেন ছেড়ে দেয়। বাধ্য হয়ে বাসের ব্যবস্থা করতে হয়। যা অবস্থা, তাতে লুধিয়ানা পৌঁছতে বেশি রাত হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। কিছু করার নেই।’’
দিল্লীর রাস্তায় যানজটে আটকে পড়ায় নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ধরতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারেরা। শেষ পর্যন্ত তিন ঘণ্টা রাস্তায় অপেক্ষা করে বসে থাকতে হয় পুরো দলকে। রাত আটটা নাগাদ একটি বাস ভাড়া করে আনা হয়। তারপর পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে রওনা হন খাইমে কোলাদোরা। রাতে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, পরিস্থিতি যা তাতে হোটেলে পৌঁছতে রাত তিনটে হয়ে যাবে। পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে খেলা সময় দুপুর দু’টোয়। অর্থাৎ ম্যাচের তেরো ঘণ্টা আগে বাইরের মাঠের ম্যাচ খেলতে পৌঁছবেন কাশিম আইদারারা।