কোহলি দাপটে উড়ে গেল ক্যারিবিয়ান ব্রিগেড। আজ হায়দ্রাবাদের সকাল শুরু হয়েছিল ৪ ধর্ষকের এনকাউন্টার দিয়ে, আর দিনটা শেষ হল কোহলির বিধ্বংসী ব্যাটিং-এ। একার কাঁধে টেনে ম্যাচ জেতালেন ভারত অধিনায়ক। রান মেশিনের রানের গোলার সামনে বিপর্যস্ত পোলার্ড বাহিনী। সেই সুবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দিল বিরাট বাহিনী। রান চেজ করে ম্যাচ জেতার ধারা বজায় রাখল টিম ইন্ডিয়া। আর দর্শকরা তা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলেন।
এদিন টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ব্যাট করতে পাঠান কোহলি। দীপক চাহরের প্রথম স্পেলে ক্যারিবিয়ান ওপেনার সিমন্সকে (২) হারিয়েও ম্যাচে ফিরে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লুইস (৪০) ও ব্রডন (৩১) সেই ধাক্কা সামলে দেন। তারপর ধারাবাহিকভাবে বোর্ডে রান যোগ করেন হেটমেয়র (৫৬) ও পোলার্ড (৩৭)। এই দুই ক্যারিবিয়ান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে চলে যাওয়ার পরই ঝড়ো ইনিংস আসে হোল্ডার (২৪) ও রামদিনের (১১) ব্যাটে। তাঁদের সুবাদেই ২০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২০৭। ভারতীয় বোলাররা সেভাবে প্রতিহত গড়ে তুলতে পারে নি। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফল চাহল। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে তিনি ২ উইকেট ঝুলিতে ভরেন। ভুবি ছাড়া বাকিরা এক উইকেট করে পান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রোহিতকে হারিয়ে ধাক্কা খায় ভারতীয় শিবির। ৩০ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নের ফিরে যান হিটম্যান। তবে তারপরই ম্যাচ ধরেন লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলি। ১০০ রানের পার্টনারশিপ যোগ করেন তাঁরা স্কোর বোর্ডে। ৬২ রানে রাহুল প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে ম্যাচ ধরেন কোহলি। এই পরিস্থিতিতে কোহলিকে পন্থ যথাযথ সঙ্গত দেবে বলে মনে করলেও সেই আশা ব্যর্থ হয়। ১৮ রানে ফিরে যান পন্থ। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হন শ্রেয়স আইয়ারও। তবে শেষ পর্যন্ত একার দাপটে ম্যাচ বার করেন কোহলি (৯৪)। এই ম্যাচ জেতার ফলে টি-২০ সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত।