বাংলার শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা সবাই কোমর বেঁধে নেমেছেন তাঁদের প্রিয় নেত্রীর নির্দেশ মতো। রাজ্যের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যেটুকু দূরত্ব তৈরি হয়েছে সেটুকুও দূরত্ব রাখতে চান না দল নেত্রী। তাই সবার কাছে পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর দলের অনুগামী নেতা-কর্মীদের। তাই সকলেই তাঁদের প্রিয় ‘দিদি’-র কথামতো কাজ করতে ব্যস্ত। যে যাঁর নিজের মতো করে জন সংযোগের উপায় বার করছেন। লক্ষ্য একটাই। এবার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচার শুরু হল দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অন্দরে। ঘরে ঘরে গিয়ে নয়, এবার কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ‘দিদিকে বলো’র নম্বর বিলি করলেন আইএনটিটইউসি নেতা-কর্মীরা। তাঁদের উদ্যোগে খুশি ইস্পাত কারখানার কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেখানেই আইএনটিটিইউসির নেতা ও কর্মীরা কাজে আসা শ্রমিকদের হাতে ‘দিদিকে বলো’র ফোন নম্বর লেখা কার্ড তুলে দেওয়া হয়। তাঁদের কর্মরত অবস্থায় কোনও সমস্যা হলে সরাসরি ওই নম্বরে ফোন করার অনুরোধ করেন সংগঠনের কর্মীরা। আইএনটিটিইউসির পক্ষ থেকে সুরক্ষা বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলেও অভিযোগ জানাতে বলা হয় শ্রমিকদের।
শ্রমিকরাই নন, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধিকারিকদেরও হাতেও তুলে দেওয়া হয় ‘দিদিকে বলো’ কার্ড। আধিকারিকদের নিজস্ব কোনও সমস্যা থাকলে তা ওই নম্বরে ফোন করে জানাতে বলা হয় আইএনটিটিইউসির পক্ষ থেকে। এদিন প্রায় এক হাজার কার্ড বিলি করা হয়। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আইএনটিটিইউসি নেতা জয়ন্ত রক্ষিত জানান, “শ্রমিকদের মধ্যে জনসংযোগের উদ্দেশ্যে, তাঁদের সমস্যার সমাধানে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের সুবিধার্থে ডিএসপির প্রতিটি বিভাগে সমস্ত শ্রমিকদের কাছে আমরা যাব। কারখানার অস্থায়ী শ্রমিকদের কাছেও আমরা পৌঁছাবো। তাঁরাও যাতে তাঁদের সমস্যা নিয়ে ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন সেই সুযোগও করে দেওয়া হবে।”