এনআরসির পর সামনে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, আসামের নতুন জমি নীতি, ২০১৯ পাস হলে দেশছাড়া হতে পারেন ১৩০ লক্ষ মানুষ। তাঁদের মধ্যে ৭০ লক্ষ মুসলিম এবং ৬০ লক্ষ বাংলা ভাষাভাষির হিন্দু। বনাঞ্চল, নদীচর এলাকার বাসিন্দারা মূলত আদিবাসী জনজাতি এবং পশুপালক শ্রেণিভুক্ত। গত ১৩ নভেম্বর জমি নীতি আসামের মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হওয়ার পর ২৮ নভেম্বর বিধানসভায় পেশ হয়। বিতর্কের পর সেটি বৃহস্পতিবার পাস করানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপি শাসিত আসাম সরকার। কিন্তু কংগ্রেস বিধায়কদের তুমুল প্রতিবাদের ফলে সেটির মূল উদ্দেশ্য ট্রেজারি বেঞ্চেই খারিজ হয়ে যায়। তার ফলে সাময়িকভাবে ট্রেজারি বেঞ্চ এব্যাপারে বিরত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আদিবাসী অধ্যুষিত জমি এবং অন্য সরকারি জমি, যা মূলত বনাঞ্চল এবং নদীচর, সেগুলিকে পুনর্বণ্টন করে রাজ্যের অন্যান্য জনজাতির মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জমি নীতি, ২০১৯–এ। তাই এই নীতি পাস হলেই জমিহীন হবেন ৭০ লক্ষ মুসলিম এবং ৬০ লক্ষ বাঙালি হিন্দু।
বর্তমানে নদীচরে কমপক্ষে ৩৫ লক্ষ মানুষের বাস, যাদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ মুসলিম এবং নদীচরের বাসিন্দা হওয়ার কারণে তাঁদের কাছে কোনও পাট্টা বা দলিল নেই। কারণ নীতিমাফিক, বন্যায় জমি ধুয়ে গেলেই জমির মালিকানা স্বত্ব শেষ হয়ে যায়। তাই নদীচরে ওই সব কোনও বাসিন্দারই জমির দলিল নেই। ফলে ওই নীতি পাস হলে বিপদে পড়বেন তাঁরা, এই অভিযোগেই এদিন প্রতিবাদ দেখায় কংগ্রেস। তবে মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে গোটা দেশজুড়েই বিরোধিতার সুর উঠেছে।