গতকাল রাত ৮টা নাগাদ তিহাড় জেল থেকে ছাড়া পেয়েই পৌঁছে গিয়েছিলেন ১০ জনপথে। দেখা করেন কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। আর আজ পৌঁছে গেলেন সোজা সংসদে। জানা যাচ্ছে, সংসদ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন রাজ্যসভার সাংসদ। সাংসদে ঢোকার আগে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন চিদম্বরম। তিনি বললেন, “কেন্দ্র তো সাংসদে ঢোকা থেকে আমাকে আটকাতে পারবে না”।
চিদম্বরম যে কেন্দ্রের ওপর বর্ষাবেন সেটা আগেই বোঝা গিয়েছিল। আর সংসদে ঢোকার মুখে এদিন বুঝিয়ে দিলেন, এখানে তাঁর মুখ বন্ধ রাখতে পারবে না কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁর সাফ কথা, ‘সংসদে তো আর কেন্দ্রীয় সরকার আমার মুখ বন্ধ করে রাখতে পারবে না।’ গতকালই জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর চিদম্বরম দাবি করেছিলেন, একাধিক মামলায় তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। যার বাস্তবে কোনও ভিত্তিই নেই। ২১ অগস্ট নিজের বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপর আটকে রাখা হয়েছিল তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে।
গতকাল জেল থেকে বেরিয়ে চিদম্বরম বলেন, “১০৬ দিন পর মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পেরে ভাল লাগছে।” আইএনএক্স দুর্নীতি মামলায় অগস্ট থেকে কখন সিবিআই কখনও ইডির হেফাজতে থাকতে হয়েছে। ১০৬ দিন তিহাড় জেলে রাত কাটান তিনি। একাধিক বার জামিনের আবেদন করেও পাননি পি চিদম্বরম।
শীর্ষ আদালত জামিন দেওয়ার সময় এই শর্ত রেখেছে যে তিনি এর মধ্যে কোনওভাবেই দেশ ছাড়তে পারবেন না এবং যখনই প্রয়োজন হবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। আদালত এই নির্দেশও দেয় যে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এই মামলায় কোনও প্রকাশ্য বিবৃতি দিতে বা কোনও সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না বা কোনও সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না। উল্লেখ্য, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তামিলনাড়ু থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন।