মানুষের ছোট ছোট সমস্যাকে মাথায় রেখে পাশে দাঁড়াচ্ছেন খোদ মেয়র। এমন ঘটনা কমই নজরে পড়ে৷ কিন্তু কলকাতার মহানাগরিক মনে করেন, তার কাজ শুধু মাত্র কর্পোরেশনের আওতায় থাকা যেকোনও পুরসমস্যা সমাধান করা না। তিনি মানুষের পাশে থাকতে চান। তাই মানুষের ছোটখাটো সমস্যার কথা জানতে পারলে তা সমাধানের চেষ্টা করেন।
১২৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মেয়রের কাছে ফোন করেন গৌতম মজুমদার। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। মেরামত হলেও তা হচ্ছে খুবই ধির গতিতে। কিন্তু চলতি মাসের ১১ তারিখে তার মেয়ের বিয়ে। সেক্ষেত্রে রাস্তা খারাপ থাকলে বরযাত্রীর গাড়ি ঢুকতে পারবে না। এই কথা জানানোর পরেই মেয়র নির্দেশ দেন যাতে দ্রুত ওই রাস্তাটি ১১ ডিসেম্বরের আগেই সারিয়ে দেওয়া হয়।
যোদপুর পার্ক থেকে ফোন করেন সুব্রত ঘোষ। তিনি জানান, তার বাড়ির সামনের রাস্তায় পুরসভার থেকেই লাগানো রয়েছে কিছু বড়ো বড়ো গাছ। সেই গাছ গুলো দীর্ঘদিন রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে থেকে অতিরিক্ত বড় হয়ে গেছে। যা তার বাড়িতে ঢুকে আসছে। এই কথা জানাতেই দ্রুত গাছের অতিরিক্ত ডাল কেটে দেওয়ার নির্দেশ দেন মেয়র।
৮ নম্বর ক্যামাক স্ট্রিট থেকে ফোন করেন একজন। তার অভিযোগ তাঁর বাড়ির সামনের ফুটপাথে দোকান সাজিয়ে বসেছে এক হকার। বারবার তাকে উঠতে বলেও কোনও কাজ হয়নি। মেয়র দ্রুত ব্যবস্থা নেন। বলেন বাড়ির সামনের রাস্তায় নতুন করে কোন হকার বসতে পারবে না। যারা আগে ছিলেন কেবল তারা বাদে। সাধারণ মানুষের অসুবিধার খেয়াল রাখায় মেয়রের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান সকলেই।