মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করে বিধানসভার আস্থা ভোটেও জিতেছেন উদ্ধব ঠাকরে। এরপরও থামছে না মহারাষ্ট্রের মহানাটক! নয়া সংযোজন, কর্নাটকের বিজেপি নেতা অনন্ত কুমার হেগড়ে। গেরুয়া শিবিরের এই সিনিয়র নেতার দাবি, রাজ্য তহবিল থেকে ৪০ হাজার কোটি কেন্দ্রের কাছে ট্রান্সফার করতেই প্রায় ৮০ ঘণ্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হেগড়ের এহেন মন্তব্যে হইচই শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্র-সহ দেশের রাজনৈতিক মহলে।
‘কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে পাওয়া ৪০ হাজার কোটি ব্যবহারের ক্ষমতা থাকে একজন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। দেবেন্দ্র ফডনবিশ জানতেন যদি মহা বিকাশ আগাড়ি ক্ষমতায় আসে, তারা সেই তহবিলের অপব্যবহার করবে।’ দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে হেগড়ের এমনই এক মন্তব্য সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ভিডিয়োতে অনন্ত হেগড়ে আরও দাবি করেন, ‘বিজেপি সরকার গড়তে পারবে না, এই বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর পরই নাটকের সিদ্ধান্ত হয়। ফডনবিশ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন এবং চেয়ারে বসার ১৫ ঘণ্টার মধ্যেই ৪০ হাজার কোটি কেন্দ্রের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেন।’
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হেগড়ের এমন মন্তব্যে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সোমবার সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন বর্তমানে মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফডনবিশ । তিনি জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আমি নেইনি। এগুলি মিথ্যা অভিযোগ।’ বিতর্কিত ওই ভিডিয়োতে হেগড়ে আরও দাবি করেছিলেন, ‘ফড়নবিশও জানতেন সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। বিজেপি-ও জানত। তবে ওই নাটক কেন করা হয়েছিল?’
প্রসঙ্গত, ২৩ নভেম্বর এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের সমর্থনে ভোর-রাতে রাজভবনে গিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ। সকাল সকাল শপথ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হন অজিত পাওয়ার। ২৫ নভেম্বর এক এনজিও -কে দেওয়া অনুদানের চেকে মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশ সই করেছেন বলে টুইটে জানায় সিএমও। তবে রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। উভয় পক্ষের বক্তব্যের পর দ্রুত আস্থা ভোটের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তবে আস্থা ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ।