প্রতিবেদন : ফের বড়সড় ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে বহুজাতিক সংস্থা আমাজন।(Amazon) এমনই দাবি করেছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তবে ঠিক কতজনকে ছাঁটাই করা হবে এবং কোন সময়ে তা কার্যকর করা হবে, সেব্যাপারে অবশ্য কিছু জানা যায়নি। জানা যাচ্ছে, এআই-এর উপরে নির্ভরতা বাড়ার কারণেই কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেফ বেজোসের সংস্থা। এবং এর সবচেয়ে বেশি কোপ পড়বে এইচআর বিভাগের উপরেই। সেখানে ১৫ শতাংশ ছাঁটাই করা হবে বলেই ইঙ্গিত সূত্রের।
অতিসম্প্রতিই কিন্তু কর্মী ছাঁটাই করেছিল আমাজন।(Amazon) তবে তা ব্যাপক হারে ছিল না। মূলত পডকাস্ট শাখা ‘ওয়ান্ডারি’ এবং ‘আমাজন ওয়েব সার্ভিস’ থেকেই মূলত কিছু কর্মীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কোভিডপর্বে আমজন, ফ্লিপকার্টের মতো অনলাইন বিপণন সংস্থাগুলির রমরমা বেড়েছিল। যদিও পরবর্তী সময় ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়। আর সেই ধারাকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমাজন। যার এর নেপথ্যে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি এআই গবেষণায় ব্যাপক টাকা ঢালতে শুরু করেছেন জেফ বেজোস। এবছর সব মিলিয়ে ওই খাতে বিনিয়োগের অঙ্ক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বিপুল বিনিয়োগকে সমতা আনাটাও ছাঁটাইয়ের অন্যতম কারণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

প্রসঙ্গত, গত জুনে বেজোস বলেন, ”আমাদের আশা, আমাদের মোট কর্পোরেট কর্মী সংখ্যা হ্রাস হতে চলেছে। কারণ আমরা ব্যাপকভাবে এআই ব্যবহার করতে চলেছি, যাতে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।” উল্লেখ্য, কোভিড পর্বে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ আমাজনের কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৬ লক্ষে। যদিও ২০২২ এবং ২০২৩ সালে মোট ২৭,০০০ কর্মীকে ছাঁটাই করে তারা।




