প্রতিবেদন : এবার গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আমেরিকায় গ্রেফতার হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন বিদেশনীতির পরামর্শদাতা।(Indian Origin Consultant) অ্যাশলে টেলিস নামে ওই ব্যক্তিকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে আমেরিকার ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন। অভিযোগ, গত তিন বছর ধরে চিনের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন তিনি। শত্রুর হাতে তুলে দিয়েছেন বায়ুসেনার গুরুত্বপূর্ণ সব নথি।
সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে টেলিসকে(Indian Origin Consultant) গ্রেফতার করেছিল এফবিআই। সম্প্রতি টেলসির বিরুদ্ধে তারা আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালে ওয়াশিংটনের কাছে এক রেস্তোরাঁয় চিনের আধিকারিকদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। সেখানে মার্কিন বায়ুসেনা কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগাচ্ছে তা ফাঁস করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ তুলে ধরে বলা হয়েছে, বৈঠকের আগে ওই রেস্তোরাঁয় বেশকিছু ফাইল নিয়ে গিয়েছিলেন টেলিস। ফেরার সময় সেগুলি আর তাঁর হাতে দেখা যায়নি।
এমনকী টেলিসের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এফবিআই ‘টপ সিক্রেট’ এবং ‘সিক্রেট’ লেখা ১,০০০ পৃষ্ঠারও বেশি নথিপত্র পেয়েছে। টেলিসের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রতিরক্ষা তথ্য আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে এফবিআই। তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে ন্যূনতম ১০ বছর জেল এবং মোটা অঙ্কের জরিমানা হতে পারে।

৬৪ বছর বয়সী অ্যাশলে টেলিসের জন্ম মুম্বইয়ে। সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এরপর শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। আমেরিকায় থাকাকালীন, টেলিস ভারত এবং দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠেন। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের বিশেষ সহকারী, কৌশলগত পরিকল্পনা এবং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার সিনিয়র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নয়াদিল্লিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন অ্যাশলে। ২০০০ সালে ভারত-মার্কিন অসামরিক পারমাণবিক চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করেন। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে টেলিস ট্রাম্প প্রশাসনের একজন অবৈতনিক পরামর্শদাতা। কীভাবে মার্কিন প্রশাসন একজন অবৈতনিক পরামর্শদাতার সঙ্গে গোপন নথিপত্র বিনিময় করল? উঠছে প্রশ্ন।




