কাঠমান্ডু: বাইশে শ্রীলঙ্কা আবার ২০২৪ সালে বাংলাদেশ! সাক্ষী ছিল গণঅভ্যুত্থানের। শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রপ্রধানের বাসভবনে হানা দেয় বিক্ষোভকারীরা। গত বছরেও একই চিত্র দেখা যায় বাংলাদেশে।পতন হয় বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের। এবার নেপালেও ফুটে উঠেছে সেই একই চিত্র।(Uprising in Nepal) বিক্ষোভের আগুনে ফুটছে নেপাল। তবে কী এবার নেপালের কেপি শর্মা ওলি সরকারের পতনের পালা?
নেপালের সংসদ ভবনে ঢুকে পড়ল য়রুণ তুর্কী আন্দোলনকারীরা। সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ভবন ঢুকে ভাঙচুর চালায় ক্ষুব্ধ জনতা। ভবনে আগুন এবং ধোঁয়াও দেখা গিয়েছে। এছাড়াও বহু প্রতিবাদীকে কাচের দরজা-জানলা লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে দেখা গিয়েছে। সংসদ ভবনের কারিডর থেকে ছাদ, সবই এখন বিদ্রোহীদের দখলে। দেখা নেই নিরাপত্তারক্ষীদের। সূত্রের খবর, সংসদ ভবনে হামলার জেরে বহু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি নষ্ট হয়েছে।(Uprising in Nepal)
দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত ওলির সরকার। এর মধ্যেই নেপালে নিষিদ্ধ করা হয়েক্সহে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া। ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ প্রায় সব ধরনের সোশাল মিডিয়া নিষিদ্ধ। এরপরেই বিদ্রোহ চরমে ওঠে। পথে নামে আন্দোলনকারীরা। এমনকি সংসদ ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়েছে বিক্ষোভকারীরা। জারি করা হয়েছে কারফিউ। বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ চালিয়ে বিক্ষোভ থামানোর প্র্যাস চালানো হচ্ছে। কিন্তু তাতেও থামানো যাচ্ছে না রোষ। নেমেছে সেনা। শতাধিক যখন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জন বিক্ষোভকারীর।
পাশাপাশি, বেড়েছে নিরাপত্তা। সংসদ ভবনে বিক্ষোভকারীদের হামলার পরেই তৎপর হয়েছে প্রশাসন। নিতাপত্তা বাড়ানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির বাসভবন (শীতল নিবাস), লেইনচৌরে উপরাষ্ট্রপতির বাসভবন, বালুওয়াটারের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির বাসভবন ইত্যাদিতে। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সে দেশে জারি করা হয়েছে কারফিউ। তবে কারফিউয়ের তোয়াক্কা না করেই বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে বিদ্রোহ চালিয়ে যাচ্ছে।




