কলকাতা : কেটে গিয়েছে মামলার জট। এবার ইআরও ও এইআরও পদে(ERO and AERO Posts) দ্রুত নিয়োগ শেষ করার নির্দেশ দিল নবান্ন। বুধবার নবান্নে জেলাশাসকদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। শুক্রবারের মধ্যে সমস্ত নিয়োগ শেষ করার লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে বৈঠকে, সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে এমনটাই। দীর্ঘদিন ধরে ওবিসি-সহ একাধিক মামলার জেরে এই পদগুলিতে নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। ফলত শূন্য রয়ে গিয়েছে বেশ কিছু পদ। আদালতে মামলার জট কাটায় এবার ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার বা ইআরও এবং সহকারী ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার বা এইআরও পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে চায় রাজ্য।
প্রতিটি বিধানসভা পিছু একজন করে ইআরও থাকার কথা। সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে জেলাশাসকদের জানানো হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার আধিকারিকরা ইআরও পদের দায়িত্বে রয়েছেন। সে ক্ষেত্রে বদল করতে হবে। এসডিওদেরই কেবলমাত্র ইআরও পদে নিয়োগ করতে হবে। তবে সব ইআরও পদে এসডিও না মিললে সেই পদে নিয়ে আসতে হবে সিনিয়র ডব্লুবিসিএস আধিকারিকদের। শূন্য থাকা ৬১০টি এইআরও পদেও দ্রুত সেরে ফেলতে হবে নিয়োগ। নবান্ন সূত্রে খবর, ব্লকে নিযুক্ত এক্সটেনশন অফিসার বা বিভিন্ন দপ্তরের ব্লকের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা এইআরও-র দায়িত্ব পালন করেন। ব্লকে নিযুক্ত সম পদমর্যাদার অন্য দফতরের আধিকারিককে সেই দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে তা করতে হবে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে।
এদিন বৈঠকে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, ২৯ আগস্টের মধ্যে দুটি ক্ষেত্রেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।(ERO and AERO Posts) এদিকে নয়া বিন্যাসে রাজ্যে বুথের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে হয়েছে প্রায় ৯৫ হাজার। ফলে বাড়াতে হবে বিএলও-দের সংখ্যাও। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের অনুমতি নিয়ে। সেই কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্য। বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর শুরু করার প্রস্তুতি হিসাবে নির্বাচন সংক্রান্ত শূন্যপদগুলির কত পূরণ হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে সেই রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠানোর সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে কমিশন। তারই ভিত্তিতে বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠান মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। চিঠিতে বলা হয়েছে, কতগুলি শূন্যপদ পূরণ করা হয়েছে বা পূরণ করা নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা নবান্নকে জানাতে হবে শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই।
