কলকাতা: ভোটমুখী বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধনের(SIR )নামে ষড়যন্ত্র! বারবার বিরোধীরা এই এসআইআর নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েক্সহেব। বাদ যাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূলের ত্রফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, এভাবে আসল ভোটারের নাম বাদ দিয়ে ভুয়ো ভোটারদের ঢোকানো হচ্ছে তালিকায়। এসআইআর নিয়ে সকলকে বারবার সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল। ফের একই সুর চড়া করে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করতে এলে তথ্য না দেওয়ার কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মেয়ো রোডের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সারা ভারত থেকে ৫০০ টা দল নিয়ে এসেছে বিজেপি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করছে কার কার নাম বাদ দেওয়া যায়। কেউ সার্ভে করতে এলে, কখনও নিজের তথ্য দেবেন না।” নির্বাচন কমিশনের এই সংশোনের(SIR )আড়ালে রয়েছে কেন্দ্রের রাজনৈতিক ছক! এ নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন মমতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার নামে আপনার সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য নিয়ে গিয়ে দেখবেন, আপনার নাম বাদ দিয়ে দেবে। নিজের ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে দেখবেন, নামটা আছে কি না। আধার কার্ডটা করে রাখুন। আধার কার্ডটা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। ললিপপ সরকার বিডিও, এসডিও, ডিএম-দের ভয় দেখাচ্ছে। বলছে, চাকরি খেয়ে নেব, নয় জেলে পুরে দেব। নির্বাচন কমিশন আসে আর যায়। সারাবছর কিন্তু রাজ্য সরকারের হাতে সব থাকে। গায়ের জোরে কিছু হবে না এখানে। ভান্ডারা আমাদের কাছেও আছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যেমন আছে, তেমন আপনাদের দুর্নীতির ভান্ডারাও আছে। খুলে দেব, সব ফাঁস করে দেব।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ”নির্বাচন এলেই দেখবেন এজেন্সির দাপাদাপি বাড়ে। আগে কখনও কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি বিজেপি করত না। কোনও রাজনৈতিক দলই করত না। এখন দেখছি এসব হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের চেয়ারকে আমি সম্মান করি। কিন্তু জানেন তো, বাচ্চারা ললিপপ খেলে মানায়। কিন্তু বড়রা যদি কোনও পার্টির হয়ে ললিপপ খায়, সেটা মানায় না।”
তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ তোলেন, এসআইআরের নামে বিজেপি সরকার এনআরসি করতে চাইছে। মঞ্চ থেকে বললেন, “এনআরসি করে ভোটার নাম কাড়ার চেষ্টা। জীবন থাকতে ভোটাধিকার কাড়তে দেব না।” আরও অভিযোগ তোলেন, বিজেপিকে ডিএম, বিডিওদের ভয় দেখাছে। ললিপপ দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা ললিপপ বাচ্চাদের দিই। ১৮ বছরের নতুন ভোটারদের ললিপপ দিই না। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রধান করি। তাই আপনাদের জোর জুলুম বাংলা মানছে না, মানবে না। বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি ছাড়েনি, ছাড়বে না।”