সানফ্রান্সিসকো: বর্তমানে চ্যাটজিপিটির(ChatGPT )উপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন কাজের জন্য প্রায়শই চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছেন অনেকেই। কিন্তু এই চ্যাটজিপিটির উপরই এবার উঠল গুরুতর অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, প্রস্তুতকারক সংস্থা ওপেন এআই-এর এই প্ল্যাটফর্মটির সঙ্গে দীর্ঘদিন গল্প করার পর আত্মহত্যার পথ বেছে নিল এক কিশোর। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আমেরিকার সানফ্রান্সিসকোতে।
অ্যাডাম রাইন নামের ওই মৃত কিশোরের বয়স মাত্র ১৬ বছর। মৃত্যুর কয়েকমাস আগে থেকে অ্যাডাম চ্যাটজিপিটির(ChatGPT )সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথোপকথন করেছিল। তার মধ্যে ছিল আত্মহনন। অভিযোগ, সেই সময় চ্যাটজিপিটি তাকে একাধিক আত্মহত্যার পদ্ধতি জানায়। অবশেষে ১১ এপ্রিল ওই কিশোর আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। শুধু তাই নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত এই প্ল্যাটফর্মটি তাকে একটি সুইসাইড নোটও লিখে দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই অ্যাডাম আত্মঘাতী হয়।

জানা গিয়েছে, এই ঘটনার জেরে ওই মৃত কিশোরের পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। মঙ্গলবার মৃতের পরিবার ওপেন এআই এবং সংস্থার সিইও স্যামের বিরুদ্ধে সানফ্রান্সিসকোর একটি আদালতে মামলা দায়ের করেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি চ্যাটজিপিটির প্রস্তুতকারক সংস্থা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ১৩-১৪ বছরের ‘ইউজার’দের আত্মহত্যার উসকানি দিচ্ছে চ্যাটজিপিটি। এআই পরিচালিত এই প্ল্যাটফর্মটির সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনা চালিয়েছিলেন সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেট (সিসিডিএইচ)-এর গবেষকরা। তাঁরা চ্যাটের মাধ্যমে জানতে চেয়েছিলেন, কীভাবে দ্রুত নেশাগ্রস্ত হওয়া যায় বা কীভাবে সহজে নিজের প্রাণ নিজে কেড়ে নেওয়া যায়-এর মতো অস্বস্তিকর কিছু প্রশ্ন। মাঝে মাঝে, অল্প-বিস্তর সতর্ক করলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত চ্যাটবটটি ১,২০০ ‘টেস্ট ইন্টার্যাকশন’-এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি পরামর্শ অতি-বিপজ্জনক এবং আপত্তিকরই দিয়েছে বলে দাবি সিসিডিএইচ-এর।
সংস্থার সিইও ইমরান আহমেদের মতে, “বিষয়টি এরকম যেন বন্ধু সেজে কেউ বলছে, সব সমস্যার সমাধানে পাশে আছি। অথচ সেই সমাধান অত্যন্ত বিপজ্জনক এমনকী, প্রাণঘাতীও হতে পারে। আর এমনও নয়, যে সিস্টেমে কোনও সমস্যা হয়েছে বলে এই ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তিগত কোনও সমস্যা ছিল না।”