প্রতিবেদন : ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের(Privatization )পথে হেঁটেছে মোদী সরকার। রেল, সড়ক, সেতু, বিদ্যুৎ, বন্দর, যে মন্ত্রকগুলির পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দ সবথেকে বেশি, সেই মন্ত্রকগুলির হাতে থাকা স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে, লিজ দিয়ে বা চুক্তির মাধ্যমে বেসরকারিকরণ করে আয়ের ছক কষেছে তারা। আর এর জেরে কেবল গত পাঁচ বছরে কাজ হারিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার লক্ষাধিক কর্মী। লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দিয়েছে খোদ কেন্দ্র! যা ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্কের ঝড় বইছে।
মোদী সরকারের আমলে রেল থেকে বিমান, কয়লা থেকে এলআইসি, সবেতেই বেসরকারিকরণ(Privatization )লক্ষ্য করা গিয়েছে। এমনকী সেনার অধীনে থাকা সৈনিক স্কুলও ব্যতিক্রম হয়নি। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি মডেলে দেশে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সৈনিক স্কুল তৈরি হয়েছে। সার্বিকভাবে প্রায় সব ক্ষেত্রেই কমবেশি বেসরকারিকরণের পথে হেঁটেছে কেন্দ্র। যার অবধারিত ফল হল কর্মীদের উপর অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং ছাঁটাই।

একটি জনপ্রিয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার লোকসভায় একটি লিখিত জবাবে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী বিএল বর্মা জানান, কেন্দ্রের নিয়মিত কর্মচারীর সংখ্যা ২০১৯-’২০ সালে ৯.২ লক্ষ থেকে কমে ২০২৩-’২৪ সালে ৮.১২ লক্ষে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ মাঝের পাঁচ বছরে লক্ষাধিক কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। তবে এই পাঁচ বছরে অনগ্রসর শ্রেণির চাকুরে সংখ্যা ১.৯৯ লক্ষ থেকে বেড়ে ২.১৩ লক্ষ হয়েছে। কেরলের সিপিএম সাংসদ সচিতানন্থমের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্র এই উত্তর দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে সরকার এখন কোষাগার ভরাতে চাইছে। কেন লাভজনক সংস্থার উপর এই কোপ, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। কেন্দ্রের যুক্তি, লাভজনক সংস্থার উপর কোপ পড়ছে না। রুগ্ন সংস্থাগুলিকে বিক্রি করে পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কেন কর্মীদের স্বার্থের কথা ভাবা হচ্ছে না? উঠছে সেই প্রশ্নও।