নয়াদিল্লি: ভোটার তালিকার সংশোধনের নামে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বিজেপি। আর সেই কাজেই এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।(Chief Election Commission) এহানে অভিযোগ বারবার শোনা গিয়েছে বিরোধীদের মুখে। এমনকি বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ভোটচুরির অভিযোগও তোলেন। রবিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ কে নস্যাৎ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার রাহুল গান্ধীকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন। এই আবহের মধ্যেই জানা যাচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনার কথা ভাবছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট।
Read More: ফের নিম্নচাপ, কী প্রভাব পড়বে বঙ্গে! জানাল হাওয়া অফিস
লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও হরিয়ানায় ভোট চুরি হয়েছে। তাঁর দাবি, কমিশন(Chief Election Commission) ভোটারের তথ্য নিয়ে কারচুপি করেছে। এর মাধ্যমে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ৭ অগস্ট রাহুল গান্ধী দাবি করেন বেঙ্গালুরু সেন্ট্রালের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ১,০০,২৫০ ভোট চুরি হয়েছে। এই ভোটেই বিজেপি লোকসভা আসনে জিতেছে। তিনি অভিযোগ করেন নির্বাচন কমিশন শাসক দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এই অভিযোগকেই নস্যাৎ করেছেন নির্বাচন কমিশন। রাহুল গান্ধী ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলার কয়েক দিনের মধ্যেই ইমপিচমেন্টের পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1957381615723888777
সংবিধানের ৩২৪(৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে সরানো যায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মতো একই প্রক্রিয়ায়। অর্থাৎ সংসদে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাস করাতে হয়। অর্থাৎ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে ইমপিচ করতে হলে সংসদের দুই কক্ষেই দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাগবে। যদিও সেই সংখ্যা বিরোধীদের নেই। কংগ্রেস নেতা ইমরান প্রতাপগড়ী বলেন,”আমরা দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”