কলকাতা: ‘ক্রাই অফ আওয়ার মূর্তি এক্সপেন্স’এ টাকার অঙ্ক নিয়ে বিতর্কের মুখে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্ট। মূর্তির খরচ দেখানো হচ্ছে ৫১,৩০০ টাকা কিন্তু আদতে কারিগর বলছেন, তিনি কোনও টাকাই এই মূর্তির জন্য নেননি। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের(Junior Doctors Front)দাখিল করা অডিট রিপোর্টের এহেন ‘মিথ্যাচার’ নিয়ে ব্যাখ্যা চাইছে তৃণমূল। একদিকে মূর্তির খরচের হিসাব জ্বলজ্বল করে লেখা অন্যদিকে, কারিগর বলছেন তিনি টাকাই নেননি! আদতে কে ঠিক, কে ভুল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহলও।
Read More: স্বাধীনতা দিবসে কলকাতায় কেমন থাকবে মেট্রো চলাচল, জানুন বিস্তারিত
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, মূর্তির দাম ৫১,৩০০ টাকা। শিল্পী বলছেন, বিনামূল্যে দিয়েছে। এর একটা ব্যাখ্যা চাই তো? যেভাবে অভয়া নিয়ে রাজনীতি করছে বিরোধীরা তাতে তো প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অবশ্য চরম অস্বস্তিতে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্যরা। অনিকেত মাহাতো জানিয়েছেন, মূর্তি বসাতে, শেড-লাইট লাগাতে, অনুষ্ঠান করতে এই ৫১ হাজার খরচ হয়েছে। এই ব্যাখ্যায় বিভ্রান্তি কমেনি। উলটে বেড়েছে। কারণ, অডিট রিপোর্টে কালচারাল প্রোগ্রামের জন্য আলাদা টাকার কথা উল্লেখ রয়েছে।

অভয়াকে নিয়ে ডাকা নাগরিক কনভেনশনে শিল্পী অসিত সাঁই জানান, “আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা আমায় অনুভূতিপ্রবণ করে তুলেছিল। বাধ্য করেছিল ওই মূর্তি বানাতে। নিজের কাছেই ফাইবারের মূর্তিটি রেখে দিয়েছিলাম। দেখলাম জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন করছে। ওদের ওই মূর্তিটা বিনামূল্যে দিয়ে দিই।” নিজেদের ব্যালান্স শিটে জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্ট(Junior Doctors Front)আন্দোলনের জন্য এক কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা খরচের মধ্যে মূর্তির জন্য ৫১,৩০০ টাকা ধার্য করল! তবে এই অর্থের রিপোর্ট কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1955992647606337639?t=_qTKfNp3lDYL_1HbEKHEKQ&s=19
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর কিউআর কোড দিয়ে, মোবাইল নম্বর শেয়ার করে রাশি-রাশি টাকা তুলতে শুরু করেন ফ্রন্টের নেতারা। চাপে পড়ে, গত এপ্রিলে জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট প্রকাশ করে ব্যালান্স শিট। কিঞ্জল-দেবাশিসরা জানান, সাড়ে তিন কোটি টাকার বেশি অনুদান পেয়েছে ফ্রন্ট। তার মধ্যে এক কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। হাতে এখনও দু’কোটির বেশি টাকা। খরচের সে বহর দেখে অনেকেই চোখ কপালে তুলেছিলেন। এখন রিপোর্ট এবং মূর্তির কারিগরের কথা মিলিয়ে এই খরচ নিয়ে জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের ‘মিথ্যাচার’ সামনে এসে গিয়েছে বলেও অনেকে দাবি করছেন।