কলকাতা : ফের বড়সড় ধাক্কা খেল বঙ্গ বিজেপি।(Bengal BJP)শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ রাজ্য বিজেপির সম্পাদক তথা জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরী-সহ প্রায় তিনশো গেরুয়া কর্মী। সেই একই মঞ্চে সিপিএম ছেড়ে জোড়াফুলের পতাকা নিলেন ১৭জন ডিওয়াইএফআই নেতা-সহ শতাধিক কর্মী। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে বাম নেতৃত্ব।
Read More: গান্ধী-নেতাজী-ভগৎ সিংয়ের সঙ্গে সাভারকর! স্বাধীনতা দিবসে বিতর্কিত পোস্টার কেন্দ্রের
এদিন দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি ও বিধায়ক দেবাশিস কুমারের হাত ধরে জোড়াফুলে আসা সঙ্ঘমিত্রা ও বামকর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। টানা ১২ বছর বিজেপির নানা পদ ও দায়িত্ব সামলেছেন সঙ্ঘমিত্রা। তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে বলেন, ‘‘এতদিন ভাড়া বাড়ি ছিলাম, এবার নিজের বাড়ি এলাম। বিজেপি করা সত্ত্বেও আমি সাধারণ মানুষের জন্য এতদিন যখনই কোনও কাজ নিয়ে গিয়েছি সঙ্গে সঙ্গে তা করে দিয়েছেন তৃণমূলের কাউন্সিলর, বিধায়ক-মন্ত্রীরা। কিন্তু বিজেপির পদাধিকারী হয়েও মানুষের জন্য রাজ্য থেকে নির্বাচিত পদ্মফুলের বহু সাংসদের দরজায় দরজায় ঘুরেও এক ইঞ্চি সাহায্য করতে পারিনি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যের উন্নয়নের মূলস্রোতে থাকতে ও মানুষের পাশে আরও বেশি করে থাকব বলেই তৃণমূলে এলাম।’’
সঙ্ঘমিত্রাদের তৃণমূলে স্বাগত জানিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘বাংলার অস্মিতা রক্ষায় বিজেপি(Bengal BJP )ছেড়ে আরও বহু মানুষ তৃণমূলে আসছেন, সবার কাছেই গেরুয়া শিবিরের বাংলা ভাষার অসম্মান ও অপমান আজ তীব্র হয়ে উঠছে।’’ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসে রাজ্যে পদ্মশিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও বাংলার উন্নয়নের বিরোধিতা করে নেতিবাচক ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন সঙ্ঘমিত্রা। বলেন, ‘‘গত ১২ বছরে চারজন সভাপতি বদল হওয়ায় ভুগছেন পুরনো পার্টিকর্মীরা। রাহুলদার লোকেদের দিলীপদা দায়িত্বে এসে কাজে নেননি। আবার দিলীপদার ঘনিষ্ঠদের সুকান্তবাবু নেননি। আর আমি শুভেন্দু অধিকারীর সাহায্য নিয়ে দল করতাম বলে পার্টির ‘সংগঠন-মন্ত্রী’ অমিতাভ চক্রবর্তী আমায় দক্ষিণ কলকাতার মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলা থেকে সরিয়ে চরম অপদস্থ করে হাতে ‘ললিপপ’ ধরিয়ে হাওড়ার পর্যবেক্ষক করা হল। গেরুয়া শিবিরের পরিবেশ একদম ভালো লাগছিল না।’’
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1956630682660458769?t=xb9H5X9nSOPxhIE6v7I1gA&s=19
পাশাপাশি, বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের সাংগঠনিক দক্ষতা ও গুণের উল্লেখ করে সঙ্ঘমিত্রা বলেন, ‘‘তৃণমূলে স্থিরতা ও দায়িত্ববোধ রয়েছে। দলে আছে প্রোফেশনাল অ্যাপ্রোচ। বিশেষ করে তৃণমূলের নেতা-নেত্রী ও জনপ্রতিনিধিরা সকলেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশুকে ও উপকারী মনোভাব নিয়ে কথা বলেন। বলতে পারেন, এটা বঙ্গ বিজেপিতে খুবই অভাব।’’ সূত্রের খবর, পুজোর আগে খাস কলকাতায় ফের ভাঙন ধরতে পারে বিজেপি ও বাম শিবিরে।
