লখনউ : বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে(Uttar Pradesh) নারীসুরক্ষা শব্দটি যে ক্রমেই ‘সোনার পাথরবাটি’ হয়ে উঠছে, তা হাতেনাতে প্রমাণ হয়ে গেল আরও একবার। রাখিপূর্ণিমায় দাদার হাতে রাখি বেঁধেছিলেন তুতো বোন। তাকে ধর্ষণ করে খুন করল সেই দাদা! খুনের পর অপরাধ ধামাচাপা দিতে কম চেষ্টা করেনি সে। দেখাতে চেয়েছিল, বোন আত্মহত্যা করেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আউরইয়ায়।
Read More: ‘লোকসভা ভেঙে দিন’! এসআইআর ইস্যুতে বিজেপিকে নিশানা করে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের বয়স ৩৩। শনিবার সকালে কাকার বাড়িতে গিয়েছিল সে। তুতো দাদার হাতে রাখি পরান বোন। আনন্দ-হইহুল্লোড়ের পর নিজের বাড়ি চলে যান ওই যুবক। পরের দিন সকালে ১৪ বছরের কন্যার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন বাবা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত।
এরপর নাবালিকার দেহ উদ্ধারের খানিক ক্ষণ পরেই তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়ে যান যে, এটা আত্মহত্যা নয়, খুন। ঘরের যত্রতত্র ছোপ ছোপ রক্তের দাগ দেখতে পান তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পরিবারের সকল সদস্যকে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা আগে মেয়েটির সঙ্গে কারা কথা বলেছেন, মেয়েটি কী করেছে, বাড়িতে কেউ এসেছিলেন কি না, সমস্ত খবর নেয় পুলিশ। এর পর ডাকা হয় তুতো দাদাকে। টানা জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে সে। স্বীকার করে নেয় অপরাধের কথা।(Uttar Pradesh)
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1955605947365446006
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে বোনের হাত থেকে রাখি পরে কাকার বাড়িতে খাওয়াদাওয়া সেরে নিজের বাড়ি চলে গিয়েছিল যুবক। তবে গভীর রাতে মত্ত অবস্থায় আবার কাকার বাড়িতে যায় সে। সবার অজান্তে চুপিচুপি ঢোকে। এরপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বোনের উপর। ধর্ষণের পর গলা টিপে খুন করে তাকে। ১৪ বছরের মেয়েটির গোঙানির শব্দ দরজা পেরিয়ে পাশে বাবা-মায়ের ঘরে পৌঁছোয়নি। কেউ টের পাননি কিছুই। খুনকে আত্মহত্যা দেখানোর জন্য বোনের গলায় দড়ির ফাঁস পরিয়ে ঝুলিয়ে দেয় অভিযুক্ত। বিছানাপত্র গোছগাছ করে সন্তর্পণে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। তবে মেঝেতে রক্তের দাগের কথা ভুলে গিয়েছিল সে।