পাটনা: ভোটমুখী বিহারে বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।(Election Commission) এই অভিযোগ বারবার তুলেছে বিরোধীরা। এবার সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক আরজেডি বিধায়ক তেজস্বী যাদব। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জেতাতে কার্যত ডাকাতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এমনই অভিযোগ তুলেছেন তেজস্বী।
Read More: কাশ্মীরে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের ছক বানচাল ভারতীয় সেনার, শহিদ এক জওয়ান
তেজস্বী যাদবের অভিযোগ, বেছে বেছে বিজেপি নেতা-কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের দুটি আলাদা এপিক নম্বর-সহ ভোটার কার্ড দেওয়া হচ্ছে। নিজের দাবির সপক্ষে সংবাদমাধ্যমের সামনে তথ্য প্রমাণ তুলে ধরেন তেজস্বী। বিশেষ নিবিড় সংশোধনী বা এসআইআর নিয়ে বিতর্কের মাঝেই তেজস্বীর এই অভিযোগ নতুন করে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
তাঁর অভিযোগ, “বিজেপি নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) সঙ্গে মিলে ভোটের আগে ভোট ডাকাতি শুরু করেছে। যদি নির্বাচন কমিশন নিজেই এই দুর্নীতি করে তাহলে এসআইআরের অর্থ কী? এই ঘটনা একটা নয়, গোটা বিহার জুড়ে এমন অজস্র ঘটনা ছড়িয়ে রয়েছে।”
বুধবার সকালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তেজস্বী বলেন, “বিজেপির অন্যতম বড় নেত্রী নির্মলা দেবী। যিনি মুজফফরপুরের মেয়র। এনার কাছে দুটি এপিক নম্বর সহ দুটি আলাদা ভোটার কার্ড রয়েছে যার নম্বর REM1251917 ও GSB1835164। একই বিধানসভায় দুটি আলাদা বুথে দুটি ভোটার কার্ড দেওয়া হয়েছে। এপিক নম্বরের পাশাপাশি দুটি কার্ডে এনার বয়সও ভিন্ন। ইনি এসআইআরে দুটি আলাদা ফর্ম ভরেছিলেন। যার মাধ্যমে দুটি ভোটার কার্ড পেয়েছেন।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1955560461963055615
তিনি আরও বলেন, “গুজরাটে বিজেপির বড় দায়িত্বে রয়েছেন ভিখুভাই ডালসানিয়া। তিনি সম্প্রতি পাটনার ভোটার হয়েছেন। অথচ ২০২৪ সালে ইনি গুজরাট থেকে ভোট দিয়েছেন। গুজরাটের ভোটার তালিকা থেকে নিজের নাম মুছে পাটনায় এসেছেন তিনি। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, ৫ বছরের আগে এমনটা করা যায় না। কিন্তু অদ্ভুতভাবে ইতি নাম ঠিকানা সব বদলে পাটনায় চলে এসেছেন। বিজেপি ও কমিশন মিলিতভাবে এক বিরাট ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বিহারে।”