কলকাতা : আজ ১১ আগস্ট। ঠিক ১১৭ বছর আগে এই দিনেই ফাঁসিকাঠে ঝোলানো হয়েছিল তরুণ স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসুকে। সোমবার, শহিদ ক্ষুদিরামের প্রয়াণ দিবসে তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীর বিপ্লবীর আত্মবলিদানের কথা স্মরণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এল কেন্দ্রীয় স্তরে বাঙালি মনীষীদের অবমাননার প্রসঙ্গও।
এদিন ক্ষুদিরামের ফাঁসির কথা স্মরণ করতে গিয়ে অবিস্মরণীয় গানটির কথা লিখেছেন, “একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি, হাসি হাসি পরব ফাঁসি দেখবে ভারতবাসী। বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর প্রয়াণ দিবসে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম।” এরপরই সেই পোস্টে বলিউড সিনেমা ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’-এ শহিদ বঙ্গসন্তান ক্ষুদিরাম বসুকে নিয়ে ভুল তথ্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ”একটা কথা লিখি। সম্প্রতি একটি হিন্দি ছবিতে বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে ‘সিং’ বলা হয়েছে। স্বাধীনতার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের অপমান করা হচ্ছে কেন? পথিকৃৎ অমর বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে ধরেও টানাটানি করবে ভাষা-সন্ত্রাসীরা? আমাদের মেদিনীপুরের অদম্য কিশোরকে দেখানো হয়েছে পাঞ্জাবের ছেলে হিসেবে। অসহ্য! আমরা কিন্তু সবসময় দেশপ্রেম ও সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের প্রতীক এই মানুষটিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছি”, লিখেছেন তিনি।
পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ”ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্মৃতি বিজড়িত মহাবনী ও সংলগ্ন অঞ্চলের আরো বেশি উন্নয়নের জন্য মহাবনী ডেভেলপমেন্ট অথরিটি করেছি। এছাড়া মহাবনীতে শহীদ ক্ষুদিরামের মূর্তি স্থাপন থেকে শুরু করে পাঠাগার সংস্কার, নতুন একটি সুবিশাল অডিটোরিয়াম, কনফারেন্স রুম – সবই করা হয়েছে। একটি মুক্তমঞ্চও করা হয়েছে। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য নির্মিত হয়েছে আধুনিক কটেজ, ঐতিহ্যবাহী ক্ষুদিরাম পার্কের পুনরুজ্জীবন করা হয়েছে। পুরো এলাকাটাকে আলো দিয়ে সাজানোও হয়েছে। শুধু তাঁর জন্মস্থান মেদিনীপুরেই নয়, এই মহান বিপ্লবীকে শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতায় একটি মেট্রো স্টেশনের নামও আমরা ওনার নামে রেখেছি। আমরা গর্বিত।”