ময়ূরভঞ্জ : হাড়হিম করা ঘটনা প্রকাশ্যে এল বিজেপিশাসিত ওড়িশায়। স্ত্রী এবং শাশুড়িকে খুনের পর তাঁদের দেহ বাড়ির পিছনে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দিল এক ব্যক্তি! খোঁড়া জায়গায় লাগিয়ে দিল কয়েকটি কলাগাছও! এরপর প্রতিবেশীদের সন্দেহ হওয়ায় শেষমেশ গ্রেফতার হল ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের যুবক দেবাশিস পাত্র। জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই দেবাশিস এবং তাঁর স্ত্রী সোনালী দালালের মধ্যে অশান্তি হত। দিন কয়েক আগে সেই ঝামেলা-অশান্তি চরমে ওঠে। জামাইয়ের অত্যাচারের খবর পেয়ে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন সোনালির মা সুমতি। সেখানে বেশ কিছু দিন থাকেন। সোনালীকে নিজের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়িতে যায় দেবাশিস। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিটমাট হয়। সোনালীকে আবার ফেরত পাঠানোর জন্য সুমতি রাজি হয়ে যান।
এরপর দেবাশিসের সঙ্গে আবার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যান সোনালী। দু’দিন পর সুমতিও মেয়ের খবর নিতে জামাইয়ের বাড়িতে যান। ১৯ জুলাই রাতে স্ত্রী এবং শাশুড়ি যখন ঘুমোচ্ছিলেন, তখন তাঁদের দু’জনে মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে খুন করার অভিযোগ ওঠে দেবাশিসের বিরুদ্ধে। তার পর সেই দেহ বাড়ির পিছনে বাগানে নিয়ে যায় সে। মাটি খুঁড়ে সেই দেহ পুঁতে দেয়। পরদিন বেশ কয়েকটি কলাগাছ নিয়ে এসে ওই জায়গায় পুঁতে দেন। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ওই জায়গা খুঁড়তেই সোনালী এবং সুমতির দেহ পাওয়া যায়। তার পরই দেবাশিসকে গ্রেফতার করা হয়।