কলকাতা: টানা বৃষ্টি জারি রয়েছে রাজ্যজুড়ে। কলকাতাতেও চলছে বিরামহীন বৃষ্টি। আপাতত সেটাই দেখতে হবে আগামী আরও কয়েকদিন। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে। বুধবার পর্যন্ত এমনটাই সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে। সেইসঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
জানা যাচ্ছে, সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.১ ডিগ্রি। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৮ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৭২ থেকে ৯৬ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ৩.৬ মিলিমিটার।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সোমবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হুগলি এবং উত্তর চব্বিশ পরগনায়। বাকি সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে প্রতি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড়ো বাতাস বইতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুব বেশি থাকায় বৃষ্টি না হলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে।
উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে। সোমবার মালদহ ও দুই দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ভারী বৃষ্টি হতে পারে পার্বত্য এলাকাতেও। ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে ফের বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে। মঙ্গলে সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু, এক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং জেলায়।
উত্তরে বুধবার বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। শুক্র ও শনিবার উত্তরবঙ্গের পার্বত্য তিন জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।কলকাতায় আগামী তিনদিন বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে চরমে। বুধবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। দিনভর কয়েক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি।
মঙ্গলবার নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলাতে। বুধবার বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলাতে ভারী বৃষ্টি। বাকি সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে কোনও কোনও জায়গায়। বৃহস্পতিবার থেকে কমতে পারে বৃষ্টির পরিমাণ।