কলকাতা : সোমবার কলকাতার ধর্মতলায় তৃণমূলের শহীদ স্মরণের সমাবেশ থেকে আরও একবার বিজেপিকে কড়া ভাষায় নিশানা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পদ্মশিবিরকে ‘বাংলাবিরোধী’ বলে তোপ দাগলেন তিনি। তুললেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। ভাষণের শেষে জনতার উদ্দেশ্যে জানালেন দিল্লি কাঁপানোর আহ্বান।
এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ‘‘বিজেপিকে প্রথম বাংলাবিরোধী আমরা বলেছি। আমরা জনতার গর্জনের ডাক দিয়েছিলাম। শুধু রাজনৈতিক স্লোগান নয়। সেটাই বিজেপির আসল চরিত্র। বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে তাচ্ছিল্য করে, ময়দানে জিততে না পেরে নির্লজ্জের মতো গরিব মানুষকে মারার পরিকল্পনা করে। টাকা আটকে রাখে। ওদের একটাই পরিচয়, বাংলাবিরোধী।’’
পাশাপাশি, অভিষেকের কথায়, ‘‘আমরা বাংলায় কথা বলি। ১০০ বার বলব। গর্ব করে বলব। ২০২৬ সালের পর বিজেপিকে দিয়েও ‘জয় বাংলা’ বলাব। লিখে রাখুন। আমরা মেরুদণ্ড বিক্রি করব না। গলা কেটে দিলেও ‘জয় বাংলা’ বেরোবে।’’ ২০২১-এর ‘খেলা হবে’র প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, “এবার পদ্মফুল উপড়ে ফেলা হবে।”
কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করে বহুদিন ধরেই অ-বিজেপি রাজ্যগুলিকে বিপাকে ফেলছে মোদী সরকার। সেই বিষয়টি তুলে ধরে অভিষেকের বক্তব্য, “এক দিকে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ব্যবহার করে ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে দিচ্ছে। দু’টি ই-কে কাজে লাগাচ্ছে। কেউ ভয় পাবেন না।”
এখানেই থেমে থাকেননি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড। পদ্মশিবিরকে একহাত নিয়ে সাফ জানান, ‘‘বাংলার মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চায়। বিজেপিকে আমরা ছাব্বিশের পর ওই ক্যাম্পে নিয়ে যাব। বিজেপিকে কোনও জায়গা ছাড়া চলবে না।’’ ভাষণের শেষে দিল্লি কাঁপানোর ডাক দিলেন অভিষেক। সভাস্থলে উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশে তিনি চিৎকার করে ‘জয় বাংলা’ বলার আহ্বান জানান। এমন আওয়াজ তোলার বার্তা দেন, যাতে কম্পন অনুভূত হয় রাজধানী দিল্লি অবধি!