কলকাতা: একুশের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এক হাজারের উপর লোককে কাউকে মধ্যপ্রদেশ, কাউকে ওড়িশা তো কাউকে রাজস্থানের জেলে ভরা হয়েছে। এই মর্মে বাংলাভাষীদের বিরুদ্ধে হওয়া বিজেপিশাসিত রাজ্যের হেনস্থার প্রসঙ্গে বিজেপিকে একহাত নিলেন মমতা। ভাষা আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মমতার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বাংলায় একের পর এক উন্নয়নে ভয় পেয়ে বঞ্চনার রাজনীতি করছে বিজেপি। বাংলা জুড়ে কাজ হয়েছে। তাই বাংলাকে নিশানা করছে বিজেপি। মমতা বলেন, ‘‘বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাস চলছে কেন? বাংলা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে। নবজাগরণ হয়েছে বাংলা থেকেই। বাংলার মাটি দুর্বৃত্তদের হবে না। বাংলার মানুষকে যদি বাংলা বলার জন্য বাইরে গ্রেফতার করা হয় এই লড়াই কিন্তু দিল্লিতে হবে। আমি কিন্তু ছাড়ার লোক নেই। মনে আছে, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের কথা?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দরকারে আবার ভাষা আন্দোলন শুরু হবে।’’
বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘‘বাংলায় কথা বলতে ভয় পান আপনারা। বাংলা রবন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, নজরুলের জন্ম দিয়েছে। বাংলা থেকেই লেখা হয়েছে,জাতীয় সঙ্গীত।’’
একুশের মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘‘বাংলা ভাষায় নাকি কথা বলা যাবে না! কে মাছ খাবে, কে মাংস খাবে, কে ডিম খাবে ওরা ঠিক করে দেবে! বিজেপির এক জন নেতা বলছেন এখানে নাকি ১৭ লক্ষ রোহিঙ্গা আছে। মোট কত রোহিঙ্গা? আপনি এত জনকে বাংলাতেই বা পেলেন কোথায়?’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপির চক্রান্ত তো চলছে। বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদছে। মানুষের কথা বলে না তারা। নির্বাচনের আগে প্রথম সার্কুলার ভারত সরকার পাঠিয়েছে। এক হাজারের উপর লোককে কাউকে মধ্যপ্রদেশ, কাউকে ওড়িশা তো কাউকে রাজস্থানের জেলে ভরা হয়েছে।’’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই সংগ্রাম চলবে, সেদিন শেষ হবে যেদিন দিল্লিতে পরিবর্তন হবে। আর বামেদের কথা ছেড়ে দিন। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ে টাকা খেয়ে বসে আছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমরা এখানে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়েছে। এটা বাংলার মানুষের গর্ব। আপনারা ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়ে কী ভেবেছিলেন? বাংলা করতে পারে না? আমরা পেরেছি।’’
মমতা জানান, কেন্দ্রের বঞ্চনার সত্ত্বেও তাঁর সরকার বাংলার মানুষের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অনেক জনহিতকর প্রকল্প রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। আবাস প্রকল্পে গরিবদের বাড়ি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধর্মস্থানের উন্নতিকল্পে কাজ করেছে তৃণমূল সরকার। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে।