নয়াদিল্লি : মোদীর আমলে দেশজুড়ে ক্রমশই প্রকট হয়ে উঠেছে কর্মসংস্থানের বেহাল পরিস্থিতি। খোদ মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে নাকি বছরে ২ কোটি চাকরি দেবে! যদিও এক দশকে বারবার সামনে এসেছে দেশে বাড়তে থাকা বেকারত্বের ভয়াবহ রিপোর্ট। বেআব্রু হয়ে গিয়েছে ‘জুমলা’। এতদিনেও সেই ছবিতে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন আসেনি। এবার সেই তথ্যই সামনে এল খোদ কেন্দ্রীয় রিপোর্টে। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধীরা।
রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, দেশের যুবসমাজের মধ্যে বেড়েছে বেকারত্বের হার। গত জুন মাসে দেশে যুবসমাজের মধ্যে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.৩ শতাংশ। ১৫-২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে বেকারত্বের এই হার গত মে মাসে ছিল ১৫ শতাংশ। এই নিয়ে পরপর দু’মাস বেকারত্বের এই হার বাড়ল। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান মন্ত্রকের প্রকাশ করা তথ্য বলছে, জুনে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার পৌঁছে গিয়েছে ১৮.৮ শতাংশে। গ্রামাঞ্চলে সংখ্যাটা ১৩.৮ শতাংশ। সামান্য বেড়েছে সেই সংখ্যাও।
এপ্রসঙ্গে বিরোধীদের দাবি, প্রকৃত বেকারত্বের ছবিটা আরও ভয়াবহ। কংগ্রেস বলছে, কেন্দ্রের পরিসংখ্যান মন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী, গোটা এক সপ্তাহে কোনও এক ব্যক্তি এক ঘণ্টার জন্যও যদি কোনও কাজ করে থাকেন, তাহলে তাঁকে বেকার বলে ধরা হয় না। অর্থাৎ এমন বহু যুবক-যুবতী আছেন, যারা হয়তো নিয়মিত কাজ পাচ্ছেন না। কিন্তু বেকার হিসাবে ধরা হয়নি তাঁদের।
উল্লেখ্য, এহেন পরিস্থিতির কারণে যুবসমাজের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। কাজ চাওয়ার প্রবণতাও কমছে। মে মাসে যেখানে ১৫-২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে কোনও কাজে যুক্ত থাকা বা কাজ খোঁজার চেষ্টা করছিলেন ৪২.১ শতাংশ মানুষ। সেখানে জুন মাসে কাজ খোঁজার চেষ্টা করছেন মাত্র ৪১ শতাংশ। অর্থাৎ বাকি ৫৯ শতাংশ যুবক-যুবতী কাজ করার চেষ্টাও করছেন না। স্বাভাবিকভাবেই যা উদ্বেগজনক।