নয়াদিল্লি : আগেই নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবুও একশো দিনের কাজ নিয়ে কোনও হেলদোল নেই কেন্দ্রের। বৃহস্পতিবার একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনায় বাংলার বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পর্যালোচনা বৈঠকে সরব হলেন রাজ্যের আধিকারিকরা। একইসঙ্গে জানতে চাইলেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশমত আগামী ১ আগস্ট থেকে বাংলায় একশো দিনের কাজ শুরুর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে? যার কোনও জবাব মিলল না কেন্দ্রের তরফে।
সমাধান সূত্র না মেলায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিমাতৃসুলভআচরণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, “ডবল ইঞ্জিনের সরকারের রাজ্যে মনরেগা প্রকল্পে লাগামছাড়া দুর্নীতি চলছে। খোদ প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাতে মনরেগা প্রকল্পে ৭৫ কোটি টাকার দুর্নীতি অভিযোগে সেখানকার মন্ত্রী, তাঁর দুই ছেলেও গ্রেপ্তার হয়েছে। আরেক বিজেপিশাসিত রাজ্য বিহারেও ১৫ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। কোথায়ও কাজ বন্ধ বা টাকা আটকে রাখা হয়নি। অথচ বাংলার মাত্র পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে বছরের পর বছর টাকা আটকে রাখা হয়েছে।”
পাশাপাশি তাঁর কথায়, কেন্দ্র এইভাবে বাংলার গতিরোধ করতে পারবে না, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বিভিন্ন বাংলার অগ্রগতি হবেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। একশো দিনের কাজ, আবাস সহ একগুচ্ছ প্রকল্পে সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিব পি উলগানাথন। বুধবার তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের অর্থ সচিব প্রভাত মিশ্রও। জানা গিয়েছে, এদিনই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব শৈলেশ কুমারের সঙ্গে আলাদভাবে বাংলা নিয়ে আলোচনার কথা ছিল বাংলার দুই সচিবের। কিন্তু সেই বৈঠক হয়নি। তবে শিবরাজের দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বাংলার বকেয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সেখানে বাংলার আধিকারিকেরা বাংলার বকেয়া সংক্রান্ত হিসেব এবং বকেয়া মেটানোর দাবির স্বপক্ষে নথিপত্রও তুলে ধরেন। সবকিছু আলোচনার পরেও অবশ্য জটিলতা নিরসনের কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা।