প্রতিবেদন : সম্প্রতিই প্রকাশ্যে এসেছে আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট। এএআইবি’র রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে শেষ মুহূর্তে বিমানের দুই ইঞ্জিনেরই জ্বালানি একসঙ্গে বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে ইঞ্জিন বন্ধ হওয়া নিয়ে বিমানের দুই পাইলটের মধ্যে উদ্বিগ্ন কথোপকথনও প্রকাশ্যে এসেছে। এর মধ্যেই উঠছে আরও এক প্রশ্ন। কেন বিমানে ককপিট ভিডিও রেকর্ডার থাকে না? অনেকেই মনে করছেন, ককপিটে ভিডিও রেকর্ডার থাকলে দুর্ঘটনার কারণ খোঁজা সহজতর হতে পারে।
সাধারণত, বিমানের ককপিটে অত্যন্ত সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি থাকে। কিন্তু কোনও ক্যামেরা থাকে না। ককপিটে ভিডিও রেকর্ডার বসানো সম্ভব কিনা, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। কেননা বেশির ভাগ বিমানই পুরনো। সেখানে যন্ত্রপাতির যা অবস্থান, তাতে ক্যামেরা বসানো খুব সহজ নয়। তবে নতুন বিমানে তা কঠিন নয় একেবারেই। ককপিটে ভিডিও রেকর্ডার অবশ্য পাইলটরা সেভাবে চান না। তাঁদের দাবি, এতে গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়। ককপিটে নিজেদের মতো করে থাকার স্বাধীনতা বিঘ্নিত হতে পারে। এই ক্যামেরার সুযোগ নিয়ে উড়ান সংস্থাগুলি নজরদারি চালাতে পারে তাঁদের উপরে, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, বিমান দুর্ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর (এএআইবি) ১৫ পাতার তদন্ত-রিপোর্টে দুর্ঘটনার একেবারে আগের মুহূর্তে দুই পাইলটের কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে। বিমানের ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে পাইলটদের শেষ মুহূর্তের কথোপকথনের রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। সেই রেকর্ড অনুযায়ী, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে এক পাইলট আর এক পাইলটকে প্রশ্ন করেন, “জ্বালানি বন্ধ করে দিলে কেন?” জবাব অপর পাইলট উত্তর দেন, “আমি কিছু বন্ধ করিনি।’’ এই অডিও দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।