নয়াদিল্লি: ফের প্রকাশ্যে এসেছে মোদী-জমানায় দেশের কর্মসংস্থানের করুণ পরিস্থিতি। ক্ষমতায় আসার পর বারবার ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের বুলি আউড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বছরে দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু কোথায় কী! খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের খতিয়ানই বলছে, বিগত ১১ বছরে মাত্র ২২ লক্ষ সরকারি পদ পূরণ হয়েছে। তার মধ্যে রেলে হয়েছে পাঁচ লক্ষ। কত শূন্যপদ খালি রয়েছে, সেই তথ্য দিতে পারেনি সরকার। মাত্র কয়েকদিন আগেই, গত শনিবারে রোজগার মেলায় মোদী দাবি করেছিলেন, সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উপর তাঁর সরকার জোর দিয়েছে। বাস্তব চিত্র যে পুরোই বিপরীত, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে মঙ্গলবার সংসদের কর্মী বিষয়ক স্থায়ী কমিটির বৈঠকেই।
জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে দফতরের সচিব এবং স্টাফ সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে একটি প্রেজেন্টটেশন দেওয়া হয়। সেখানেই দেখা গিয়েছে, মোদী সরকারের ১১ বছরে ২২ লক্ষ সরকারি পদ পূরণ হয়েছে। বহু সরকারি পদ যে খালি পড়ে রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু কত পদ খালি পড়ে রয়েছে সেই তথ্য দিতে পারেননি কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা।
পাশাপাশি সূত্রের খবর, বৈঠকে বিরোধী সাংসদরা সরকারি ক্ষেত্রে কত শূন্যপদ এখনও খালি রয়েছে সেকথা বারবার জানতে চান। প্রধানমন্ত্রী যে বছরে দু-কোটি কর্মসংস্থানের কথা বলেছিলেন, সেই লক্ষ্যপূরণের কি হল, এই বলেও কটাক্ষ করেন বিরোধী সাংসদরা। বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ও। ডিএমকে সাংসদ উইলসন তৃতীয়বার মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ২০২৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সরকারি ক্ষেত্রে কত কর্মসংস্থান হয়েছে, সেই প্রশ্নও তোলেন। সূত্রের খবর, সেই প্রশ্নেরও সঠিক জবাব দিতে পারেননি সরকারি প্রতিনিধিরা। কত শূন্যপদ খালি পড়ে রয়েছে, সেই প্রশ্ন বারবার উঠলেও এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকেরা দিতে না পারায় আগামী বৈঠকে তাঁদেরকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর সঙ্গে নিয়ে আসতে বলেছেন কমিটির চেয়ারম্যান।