ভুবনেশ্বর : বিতর্কের কেন্দ্রে ওড়িশার বিজেপিশাসিত সরকার। ‘ডবল ইঞ্জিন’ এই রাজ্যে অধ্যাপকের যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন এক ছাত্রী। বিচার চেয়ে ভরা ক্যাম্পাসে গায়ে আগুন দিয়েছিলেন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় সোমবার রাতে হাসপাতালে মৃত্যু হল তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসকদের বহু চেষ্টা সত্ত্বেও মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর।
কিছুদিন আগে কলেজের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। তবে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী তদন্তের কথা বলা সত্ত্বেও কোনওরকম তৎপরতা দেখায়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বিকেলে নির্যাতিতা কলেজের অপর এক অধ্যাপকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে যান। দ্রুত বিচারের দাবিও জানান তিনি। অভিযোগ, তারপরই তিনি কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতর নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসেন এক সহপাঠী। আগুন লেগে যায় তাঁর গায়েও।
এরপর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দেহের ৯৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তরুণীর অবস্থা সংকটজনক। ওই অবস্থায় গত শনিবার বালাসোরের জেলা হাসপাতাল থেকে তাঁকে রেফার করা হয় এইমস-এ। সোমবার মৃত্যু হয় তাঁর।
স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের রাজনৈতিক আবহ। রবিবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানায় বাংলার শাসকদল তৃণমূল। তাদের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “ভিন্ন দিন, ভিন্ন শিকার। বিজেপি সরকারের তত্ত্বাবধানে সর্বত্র একই পচন ছড়িয়ে পড়েছে। গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝির নীরবতা অত্যন্ত লজ্জাজনক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি শব্দও খরচ করেননি। এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে যে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়।”