নয়াদিল্লি: গত এপ্রিলে দেশে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যাবশ্যকীয় ৭৪৮টি ওষুধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সূচক মেনে ওই ওষুধগুলির ‘এমআরপি’-র উপরে ১.৭৪ শতাংশ হারে দাম বৃদ্ধিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি’। এবার এই সংস্থাই ক্যানসার, ডায়াবিটিস-সহ ৭১টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম বেঁধে দিল।
সম্প্রতি গেজ়েট বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।গত ৪ জুলাই এই গেজ়েট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ২০১৩ সালের ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ বিধি মেনে এই ওষুধগুলির দাম স্থির করা হয়েছে। ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি’র (এনপিপিএ) তরফে এই দাম স্থির করে দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে মেলাস্ট্যাটিক স্তন ক্যানসার এবং গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের ওষুধও। নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তৈরি ওষুধের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, ‘টরেন্ট ফার্মাসিউটিক্যাল্স’-এর তৈরি একটি ওষুধ পেপটিক আলসারের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন, এসোমেপ্রাজ়ল এবং অ্যামোক্সিসিলিনের মিশ্রণে তৈরি ওই ওষুধের প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ১৬২ টাকা ৫০ পয়সা স্থির করা হয়েছে।
‘রিলায়েন্স লাইফ সায়েন্সেস’ সংস্থা ‘ট্রাস্টুজ়ুমাব’ নামে যে ওষুধ তৈরি করে, সেটি মেলাস্ট্যাটিক স্তন ক্যানসার এবং গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। ওই ওষুধটির দাম বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। গেজ়েট বিজ্ঞপ্তি অনুসারে খুচরো বাজারে, ভায়াল পিছু ওই ওষুধের দাম হচ্ছে ১১ হাজার ৯৬৬ টাকা। এ ছাড়া কিছু সংস্থার তৈরি ডায়াবিটিস প্রতিরোধের ২৫টি ওষুধের (যেগুলির মধ্যে সিটাগ্লিপ্টিন রয়েছে) দামও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিছু সংস্থার প্যারাসিটামল ওষুধের দামও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অ্যাজ়মা, গ্লুকোমা, থ্যালাসেমিয়া, যক্ষ্মা ও মানসিক অসুস্থতার ওষুধ-সহ আটটি অবশ্য প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম অন্তত ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি বৃদ্ধিতে অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রের এই সংস্থা। ওই সময় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।