কলকাতা: পহেলগাঁও হামলার আতঙ্ক কাটিয়ে উঠিয়ে ফের পর্যটকদের আহ্বান জানানো হচ্ছে। এর মধ্যেই এবার কাশ্মীর নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কোনও বাঙালি কাশ্মীর যাবেন না। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যাবেন না। এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
পহেলগাঁও হামলার ভয় এখনও কাটেনি। প্রধানমন্ত্রী মোদি সেই ‘ভয়’ দূর করতে উদ্যোগী। কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা নিজে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সমস্ত বাঙালিকে তিনি ভূস্বর্গে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাতে সাড়া দিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সেই রাজ্যে যেতে পারেন বলে খবর।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অবস্থান ভিন্ন মেরুতে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “কোনও বাঙালি কাশ্মীর যাবেন না। যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেশি সেখানে যাবেন না।” তিনি আরও বলেন, “একজন বিধায়ক নয়, সচেতন নাগরিক হিসাবে বলছি, কাশ্মীরের বদলে জম্মু যান। হিমাচল প্রদেশে যান। উত্তরাখণ্ডে যান। ওড়িশা যান। প্রাণ আগে। সন্তানদের জীবন বাঁচান। নিজের জীবনরক্ষা করুন। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যাবেন না।”
শুভেন্দুর এই বক্তব্যের পর বিতর্কের ঝড় উঠেছে। তিনি কী করে পুরো মুসলিম সম্প্রদায়কে দাগিয়ে দিতে পারেন? একজন জনপ্রতিনিধি এই কথা বলতে পারেন? উঠছে সেই প্রশ্নও। যেখানে তাঁর দলেরই সর্বোচ্চ নেতৃত্ব কাশ্মীরে যেতে পর্যটকদের উৎসাহ দিচ্ছেন। উদ্যোগী হয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তারপরই শুভেন্দুর বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। কাশ্মীরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বলা ভালো অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গোটা দায়িত্বে। এই বক্তব্যের পরে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি শুভেন্দু , প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপরেও আস্থা রাখতে পারছেন না?