প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার থেকেই লর্ডসে শুরু হয়েছে ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। আর এদিন এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী রইল এই ঐতিহ্যশালী স্টেডিয়াম। খেলা শুরুর ঠিক আগে লর্ডসে ঘণ্টা বাজালেন কিংবদন্তি শচীন তেণ্ডুলকর। ক্রিকেটার হিসেবে সমস্ত মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। এবার আরও একটি নতুন পালক যোগ হল তাঁর মুকুটে।
লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলা শুরুর আগে ঘণ্টা বাজানো একটি চিরাচরিত রীতি। সাধারণত ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্বরাই সাধারণত এই ঘণ্টা বাজিয়ে থাকেন। লর্ডস প্যাভিলিয়নের বোলার্স বারের বাইরে রয়েছে এই ঘণ্টাটি। ২০০৭ সাল থেকে অনেকেই টেস্ট শুরুর আগে এই রীতি পালন করেছিলেন। যদিও এর আগে কখনই এতে অংশ নেননি ‘মাস্টার বাস্টার’। এবার লর্ডসে অ্যান্ডারসন-তেণ্ডুলকর ট্রফির তৃতীয় টেস্টে
শচীনকেও লর্ডসে ঘণ্টা বাজানোর জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁকে এই উপলক্ষে বিশেষ সম্মানও জানানো হয়। এর ফলে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস, স্যার ইয়ান বোথাম, শেন ওয়ার্ন, সুনীল গাভাসকর, রাহুল দ্রাবিড়, কপিল দেবদের সঙ্গে একই সারিতে বসে পড়লেন ‘লিটল মাস্টার’।
এদিন বেল বাজানোর আগে এমসিসি মিউজিয়ামে একটি অনুষ্ঠানে শচীনকে সম্মানিত করা হয়। সেখানে তাঁর একটি প্রতিকৃতি উন্মোচিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন এমসিসি সভাপতি মার্ক নিকোলাস। নিজের প্রতিকৃতি উন্মোচন করেন শচীন। শিল্পী স্টুয়ার্ট পিয়ারসন রাইটের তৈরি এই প্রতিকৃতিটি এই বছরের শেষ নাগাদ প্যাভিলিয়নে স্থানান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত এমসিসি মিউজিয়ামে থাকবে। ১৮ বছর আগে মুম্বইয়ে শচীনের বাড়িতে শিল্পীর তোলা একটি ছবি থেকে এই প্রতিকৃতি আঁকা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্লাবটিতে বর্তমানে প্রায় ৩,০০০ ছবি রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০০টি প্রতিকৃতি। সম্মান পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত শচীন। “এটা বিরাট সম্মানের। ১৯৮৩ সালে এখানেই বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। তখন থেকেই লর্ডসের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়। তখন কপিল দেবকে ট্রফি হাতে তুলতে দেখেছিলাম। সেই মুহূর্তটিই আমার ক্রিকেট যাত্রার সূচনা করেছিল। এখন এখানে প্রতিকৃতিটি দেখে ভালো লাগছে। যখন আমি আমার কেরিয়ারের কথা ভাবি, তখন আমার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। এটি সত্যিই স্পেশাল”, জানান তিনি।