প্রতিবেদন: ইসরোর উত্তর পূর্ব স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (এনইএসএসি) একটি কর্মসূচির আয়োজন করে। সেখানে পড়ুয়াদের সঙ্গে আইএসএস থেকে কথা বলেন শুভাংশু। তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন। কী ভাবে তিনি মহাকাশে খাচ্ছেন, ঘুমোচ্ছেন, সে সব প্রশ্নেরও উত্তর দেন। এত বার সূর্যোদয় হয়, তার মধ্যে কী ভাবে ঘুমোন, তার জবাবও দিয়ে পড়ুয়াদের কৌতুহল মেটালেন শুভাংশু।
মহাকাশে ১৬ বার সূর্য ওঠে। ১৬ বার সূর্য অস্ত যায়। এই অবস্থায় সেখানে কী ভাবে ঘুমোন মহাকাশচারীরা? তার উত্তরে শুভাংশু বলেন, ‘‘আইএসএসে আমরা এক দিনে ১৬ বার সূর্যোদয় এবং ১৬ বার সূর্যাস্ত দেখি। কারণ, আমরা প্রতি ৯০ মিনিটে পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করি। সূর্যের আলো অনুসরণ করে আমরা কাজ করি না, গ্রিনিচ সময় (ভারতীয় সময় থেকে সাড়ে ৫ ঘণ্টা পিছিয়ে) ধরে করি।’’
পাশাপাশি তিনি আরও জানান, মহাকাশে শরীরকে সুস্থ রাখার বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দেন মহাকাশচারীরা। তাঁর কথায়, ‘‘শূন্য মাধ্যাকর্ষণের পেশী এবং হাড় ক্ষয় হয়। আমরা রোজ ট্রেডমিল, সাইকেল, স্টেংথ প্রশিক্ষণ যন্ত্রে শরীরচর্চা করি। এই অভিযানে এবং পৃথিবীতে ফেরা পর্যন্ত সুস্থ থাকা খুব দরকার।’’ কিছু কাজের ক্ষেত্রে মহাকাশে রোবোট-বাহু ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন লখনউয়ের শুভাংশু।
মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ নেই। সেই পরিস্থিতিতে কী ভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা, তা-ও জানিয়েছেন শুভাংশু। তাঁর কথায়, ‘‘পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণের মধ্যে আমরা বড় হয়েছি। কিন্তু মহাকাশে তা নেই। শরীরে অনেক রকমের পরিবর্তন হয় এখানে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগে। প্রথমে অস্বস্তি (স্পেস সিকনেস) হয়। ওষুধ রয়েছে। আমরা দ্রুত মানিয়ে নিয়েছি।’’ এই নিয়ে যে পৃথিবীতেই তাঁদের প্রশিক্ষণ হয়েছিল, সে কথাও জানিয়েছেন শুভাংশু।