প্রতিবেদন : ইংল্যান্ডের মাটিতে চলতি টেস্টে সিরিজে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। হেডিংলেতে প্রথম টেস্টে হারের পর এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে রেকর্ড ৩৩৬ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছেন শুভমন গিলরা। শুভমনের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির পাশাপাশি জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বাংলার পেসার আকাশ দীপের পারফরম্যান্স। দ্বিতীয় ইনিংসে আকাশ একাই তুলে নিয়েছেন ৬ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে তাঁর উইকেট সংখ্যা ১০। তাঁর ভূয়সী প্রশংসায় পঞ্চমুখ তামাম ক্রিকেটমহল। তবে এর মধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসে জো রুটকে আউট করার বলটা নিয়ে। অনেকে বলছেন, ওটা নাকি নো বল ছিল! এই নিয়ে মুখ খুলল ক্রিকেটের নিয়ম তৈরি করা সংস্থা এমসিসি।
এমসিসি মুখপাত্র জানান, “চতুর্থ দিনে আকাশ দীপের বলে জো রুটের আউট নিয়ে অনেক প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে। অনেক দর্শক ও ধারাভাষ্যকারদের মতে ওটা নো বল ছিল। দীপের পা ক্রিজের বাইরের দিকে একটু অন্যভাবে পড়েছে এবং তাঁর পিছনের পা দেখে মনে হচ্ছে রির্টার্ন ক্রিজের বাইরে পড়েছে। তৃতীয় আম্পায়ার তাতে নো বল দেননি। এই সিদ্ধান্ত সঠিক। তাতে এমসিসি খুশি।” এমসিসির নিয়মের ২১.৫.১ ধারা তুলে ধরে তিনি বলেন, “যখন বোলারের পিছনের পা প্রথমবার মাটিতে পড়ে, নিয়ম অনুযায়ী সেই সময়টাকে ধরা হয়। পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, দীপের পা যখন মাটিতে পড়েছে, তখন তা রিটার্ন ক্রিজের মধ্যেই ছিল। পরে হয়তো ওর পায়ের কিছুটা ক্রিজের বাইরে গিয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়মের মধ্যে পড়ে না। যেহেতু প্রথমে ওর পা ক্রিজের মধ্যে পড়েছে, তাই এটা ন্যায্য ডেলিভারি।”
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস চলাকালীন আকাশ দীপের অনবদ্য এক ইনসুইং ডেলিভারিতে ছিটকে যায় রুটের অফ স্টাম্প। তাতে প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটার অ্যালিসন মিচেলের বক্তব্য ছিল, “ক্রিজের অনেক বাইরে থেকে বল করেছে আকাশ। ওর পিছনের পা প্রায় ২ ইঞ্চির মতো ক্রিজের বাইরে ছিল। তাই আইন অনুযায়ী বলটি নো বল হওয়া উচিত ছিল। যদিও সেটা ধরা পড়েনি।” অর্থাৎ আকাশের সামনের পা পপিং ক্রিজের ভিতর থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ হল, পিছনের পা রিটার্ন ক্রিজ স্পর্শ করেছে। ভারতের প্রাক্তন কোচ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী মনে করছেন, এই বিতর্ক পুরোপুরি অর্থহীন। “আকাশের পিছনের পা তো রিটার্ন ক্রিজের মধ্যেই ছিল। এ নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। তাই রুটকে ও যে বলে বোল্ড করেছে, তা সম্পূর্ণ বৈধ”, সাফ জানান তিনি।