প্রতিবেদন : উইকেটে জাঁকিয়ে বসেছিলেন হ্যারি ব্রুক ও জেমি স্মিথ। তাঁদের আউট করাই যেন অসাধ্য হয়ে উঠেছিল ভারতের বোলারদের সামনে। দুই ব্যাটারই সেঞ্চুরি করেন। গড়ে ফেলেন ৩০৩ রানের জুটি। ততক্ষণে প্রায় ৫০০-র স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছে ইংল্যান্ড। সেইসময়ে ত্রাতা হয়ে দাঁড়ালেন আকাশ দীপ ও মহম্মদ সিরাজ। ৩৮৭-৫ থেকে ৪০৭-এই গুটিয়ে গেল ইংল্যান্ড। সিরাজ নিলেন ছয় উইকেট। বাকি চারটি উইকেট বাংলার পেসার আকাশ দীপের। এজবাস্টন টেস্টে ভারতকে লড়াইয়ে ফেরালেন দুজন। দুই পেসারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কিংবদন্তি শচীন তেণ্ডুলকর।
শচীন লিখেছেন, “সিরাজের বোলিংয়ে যে পরিবর্তনটা আমি দেখেছি, সেটা হল ধারাবাহিকতা ও নিপুণতা বাড়িয়েছে। সঠিক জায়গায় বল করছে। সেটার জন্যই ৬ উইকেট পেয়েছে। আকাশ দীপও সমর্থন জুগিয়েছে। অসাধারণ।” প্রথম ইনিংসে ৭০ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন সিরাজ। ১৯৯৩ সালের পর কোনও অ্যাওয়ে দলের পেসার হিসেবে এজবাস্টনে ৬ উইকেট তুললেন তিনি। এই মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র পাঁচজন পেসারই পাঁচ উইকেট তুলেছেন। এই তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন পাকিস্তানের ইমরান খান। ১৯৮২ সালে তিনি ৫২ রান দিয়ে ৭ উইকেট তুলেছিলেন। ১৯৮৬ সালে ভারতের চেতন শর্মাও ৬ উইকেট তুলেছিলেন। সিরাজের আগে ১৯৯৩ সালে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পল রেইফেলও।
উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডের মাটিতে এটাই সিরাজের প্রথম পাঁচ উইকেট। তাঁর আগে মাত্র ৫ জন ভারতীয় পেসারের এই কৃতিত্ব রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকাতেও পাঁচ উইকেট রয়েছে সিরাজের নামে। অন্যদিকে চার উইকেট তুলেছেন আকাশ দীপ। ইংল্যান্ডের ছয় ব্যাটার শূন্য রানে আউট হন। তার মধ্যে ডাকেট, অল পোপের উইকেট পান আকাশ দীপ। বেন স্টোকস, ব্রাইডন কার্স, জশ টং ও সোয়েব বশিরকে আউট করেন সিরাজ। এই প্রথমবার টেস্টের এক ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলেন ইংল্যান্ডের ছয় ব্যাটার।