প্রতিবেদন : কেটে গিয়েছে বছরের পর বছর। তবুও কাটেনি অন্ধকার। বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে নারীসুরক্ষা ও নারীনিরাপত্তার পরিস্থিতি রয়ে গিয়েছে সেই তিমিরেই। ক্রমশ পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নারীনির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা। রেহাই পায়নি নাবালিকা ও শিশুরাও। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীর সাধের ‘আত্মনির্ভর’ ভারতে বারবার প্রকাশ্যে এসেছে জাতিবৈষম্যের ঘৃণ্য প্রতিচ্ছবি। বেড়েই চলেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আস্ফালন। বিভিন্ন সময় অকথ্য নির্যাতনের কবলে পড়েছেন সংখ্যালঘু ও দলিত শ্রেণীর প্রতিনিধিরা। এবার যোগীরাজ্যে একাদশ শ্রেণির এক দলিত ছাত্রীকে স্কুল যাওয়ার পথে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পুলিশের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে!
অভিযুক্ত কনস্টেবলকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, বুধবার স্কুল যাওয়ার পথে তাঁদের মেয়েকে অপহরণ করা হয়। এরপর বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, স্কুলে যাওযার পথে তাঁর মেয়েকে টেনে একটি গাড়িতে তোলা হয়। এরপর একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে সেখানে ধর্ষণ করা হয়। দীর্ঘক্ষণ মেয়ে বাড়ি না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজ শুরু করে।
নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, “প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর একটি গাড়ি এসে মেয়েকে বাড়ির কাছে ফেলে দিতে আসে। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে ফেললে, প্রায় ২০০ মিটার গাড়িটিকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। সেই সময় গাড়ির চালক পালিয়ে গেলেও, অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। এরপরেই তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।” ঘটনায় অপহরণ, ধর্ষণ, পকসো এবং এসসি, এসটি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।ইতিমধ্যেই রেকর্ড করা হয়েছে নির্যাতিতার বয়ান।