কলকাতা : আজ ৪ জুলাই। স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ দিবস। বিশেষ এই দিনটিতে স্বামীজিকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনেই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “স্বামী বিবেকানন্দের তিরোধান দিবসে এই মহান সন্ন্যাসী-দেশপ্রেমিককে জানাই আমার অন্তরের শ্রদ্ধা ও প্রণাম। বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব ও শান্তির যে বার্তা স্বামীজি দিয়েছিলেন, তা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। স্বামীজি যে হিন্দুধর্মে বিশ্বাস করতেন, তাতেই আমার বিশ্বাস – আর সেই ধর্ম বলে যে, মানবধর্মই সবচেয়ে বড়। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলার মানুষ, দেশের মানুষ, ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি নির্বিশেষে সকলে সকলকে শ্রদ্ধা করবে, ভালোবাসবে – এটাই আমার চাওয়া।”
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “স্বামী বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি জীবনভর কাজ করেছি। স্বামীজির বাড়ি ও ভগিনী নিবেদিতার বাড়ি যাতে রামকৃষ্ণ মিশন ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের হাতে পৌঁছায়, তার জন্য আমার বিনম্র প্রয়াসের কথা মিশনের সন্ন্যাসী–সন্ন্যাসিনীরা জানেন। বস্তুত, ভগিনী নিবেদিতার স্মৃতিজড়িত দুটি বাড়ি অধিগ্রহণে আমার বিনীত উদ্যোগ আছে – একটি বাড়ি কলকাতার বাগবাজারে, অন্যটি দার্জিলিং-এ। স্বামীজির বাড়িতে যে মিউজিয়াম আছে সেই বাবদেও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি বাৎসরিক অনুদান দেওয়া হয়।”
পাশাপাশি মমতা জানান, “নিউটাউনে তাঁর আদর্শ ও দর্শনের উপর ভিত্তি করে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে ‘বিবেক তীর্থ’ গড়ে তোলা হচ্ছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় জমি ও নির্মাণের কিছু ব্যয়ভার আমরা রামকৃষ্ণ মিশনের জন্য বহন করেছি। স্বামীজির আদর্শকে নতুন প্রজন্মের কাছে আরো বেশি করে পৌঁছে দিতে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে আমরা চালু করেছি ‘বিবেক চেতনা উৎসব’ যা সারা রাজ্যজুড়ে পালিত হয়। স্বামী বিবেকানন্দর নামে আমরা যুব সম্প্রদায়ের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প (যেমন – স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট-কাম-মিন্স স্কলারশিপ, ইত্যাদি) করেছি। সল্টলেক স্টেডিয়ামের নাম পালটে আমরা ‘বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন’ করেছি। এই সকল উদ্যোগ ও প্রকল্প আসলে তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদন মাত্র। আমি আর একবার এই মহামানবকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।”
স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “ওঠো, জাগো এবং লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না’, যুগাবতার স্বামী বিবেকানন্দের তিরোধান দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা ও প্রণাম।”