পুরী : শুক্রবার ভক্তদের বিপুল জনসমাগমের জেরে পদপিষ্ট হওয়ায় মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল পুরীর রথযাত্রায়। আহত হয়েছেন অন্তত ৫৮১ জন। অন্তত ৮ জনের অবস্থা গুরুতর। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে প্রশাসন। প্রথম দিনে মাসির বাড়ি গুণ্ডিচা মন্দিরে পৌঁছতেই পারেনি জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার রথ! শনিবার দ্বিতীয় দিনে ফের শুরু হয়েছে রথটানা।
শুক্রবার রথযাত্রার সূচনা হয়েছে। রীতি অনুসারে, সবার আগে ছিল বলরামের রথ তালধ্বজ। মাঝে সুভদ্রার রথ। সবার শেষে ছিল জগন্নাথের নন্দীঘোষ। জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরের দূরত্ব প্রায় আড়াই কিলোমিটারের আশেপাশে। ভক্তদের ব্যাপক ভিড়ের জন্য শুক্রবার কোনও দেব-দেবীর রথই পৌঁছতে পারেনি মাসির বাড়িতে।
এদিন বলরাম ও সুভদ্রার রথ কিছুটা এগিয়ে গেলেও মন্দির চত্বর থেকে বেরোতে পারেনি জগন্নাথের রথ নন্দীঘোষ। সেবায়েতদের দাবি, ইতিহাসে প্রথমবার এত কম এগিয়েছে মহাপ্রভুর রথ। নিয়ম অনুসারে, সূর্য ডুবে যাওয়ার পর আর রথ টানা যায় না। সেই মতো সন্ধ্যা নেমে আসায় যাত্রা বন্ধ করতে হয়।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এহেন বিপত্তির মূল কারণ ছিল গ্র্যান্ড রোডের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ভগবান বলরামের রথ তালধ্বজের আটকে যাওয়া। রথকে ফের চালাতে সমস্যায় পড়তে হয় মন্দির কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে। এছাড়াও রথের গণ্ডির ভিতরে ঢুকে যান ভক্তেরা। সূর্য ডুবে যাওয়ায় বন্ধ করতে হয় যাত্রা। সারারাত মন্দিরের বাইরে রথেই থাকেন দেব-দেবী। সমস্যার জন্য প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন সেবায়েতরা। তাঁদের দাবি, ঠিক মতো ব্যবস্থা করা হয়নি বলেই এই বিড়ম্বনার সূত্রপাত।