নয়াদিল্লি : এবার গঙ্গা জলচুক্তি(Ganga Water Treaty) নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুরুত্ব দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে কথা বলবে কেন্দ্র।
Read More: হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একজোট দুই ভাই, যৌথ কর্মসূচিতে উদ্ধব ও রাজ ঠাকরে
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জলচুক্তি(Ganga Water Treaty) পুনর্নবীকরণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী হবে তা ঠিক করার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে এবং আমাদের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ পরামর্শে প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে থাকি। অনুকূল পরিবেশে দুই পক্ষের জন্য লাভজনক সকল বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করতে আমরা প্রস্তুত।”

অর্থাৎ, নাম না করলেও সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি বলতে রণধীর জয়সওয়াল যা বুঝিয়েছেন, তাতে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রয়েছেন, তা বলাই বাহুল্য। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও মনে করেন, গঙ্গা জলচুক্তি কেন্দ্র সরকারের একতরফা সিদ্ধান্ত, যা বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। নতুন করে এই চুক্তি হলে তাতে বাংলাকে বেশি জল দেওয়ার জন্য দাবি করেছেন মমতা। তাঁর দাবি নিয়ে বিবেচনা করছে কেন্দ্রও।
পাশাপাশি, রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, “ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ই ৫৪টি নদী ভাগ করে নেয়, যার মধ্যে গঙ্গাও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সমস্ত প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়া রয়েছে, যা হল যৌথ নদী কমিশন।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1938547313066021097
২০২৬-এই গঙ্গা জলচুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। ভারতের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে দেশের অভ্যন্তরে জলের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে গঙ্গা জলচুক্তি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। ৩০ বছর আগে ১৯৯৬ সালে সেই সময়কার শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া স্বাক্ষরিত এই চুক্তির মেয়াদ এমন সময় শেষ হতে চলেছে, যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি একেবারেই অন্যরকম। বর্তমানে ঢাকার সঙ্গে নয়াদিল্লির যে সম্পর্ক তাতে অনেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করার মতো গঙ্গা জলচুক্তি নিয়ে নয়াদিল্লি কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেবে কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে একাধিক মহলে।