আহমেদাবাদ : কেটে গিয়েছে সপ্তাহদুয়েক। এখনও কাটেনি আহমেদাবাদের বিমান বিভীষিকার রেশ।(Ahmedabad Plane Crash) দুর্ঘটনার রহস্য লুকিয়ে রয়েছে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার এআই ১৭১-এর ‘ব্ল্যাক বক্স’-এই। দুর্ঘটনার একদিন পর বিমানটির একটি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হয়। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয় দুর্ঘটনার ৩ দিন পর। দু’টি ব্ল্যাকবক্সই পাঠিয়ে দেওয়া হয় ডিজিসিএর কাছে।বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক জানিয়েছে, ২৪ জুন বায়ুসেনার বিমানে উদ্ধার হওয়া দুটি ব্ল্যাক বক্স আহমেদাবাদ থেকে দিল্লিতে আনা হয়েছে। এএআইবির দফতরে মঙ্গলবার রাতেই ব্ল্যাক বক্স থেকে তথ্য উদ্ধারের কাজ শুরু করেন প্রযুক্তিবিদরা।
Read More: বিশ্বকবির ৩৫টি চিঠি, রবীন্দ্রনাথের হাতে তৈরি একমাত্র ভাস্কর্য! উঠছে নিলামে
উক্ত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিমানের সামনের ব্ল্যাক বক্সের ক্র্যাশ প্রোটেকশন মডিউল উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার মেমরি মডিউল উদ্ধার করা হয়েছে ব্ল্যাক বক্স থেকে। সেই তথ্য এএআইবি গবেষণাগারে ডাউনলোড করা হয়েছে। সিভিআর এবং এফডিআরের তথ্য এখন পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। মনে করা হচ্ছে, সেই পরীক্ষা শেষ হলেই দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে।

গত ২৪ জুন গুজরাট স্বাস্থ্যমন্ত্রক বিমান দুর্ঘটনায়(Ahmedabad Plane Crash) মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, গত ১২ জুন আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমানটি ভেঙে পড়ার ঘটনায় ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন ১২ জন ক্রু মেম্বার ও ২২৯ জন যাত্রী। যে জায়গায় বিমানটি ভেঙে পড়ে, সেখানকার আরও ৩৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বেঁচে ফিরেছেন উড়ানে থাকা মাত্র একজন।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1938202423782412309
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন মেঘানিনগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিনের উপর ভেঙে পড়ে এআই ১৭১ বিমানটি। এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এয়ারবাস উড়ানের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ বলেই মনে করা হয়। ২০১১ সাল থেকে যাত্রা শুরুর পর এখনও অবধি এই মডেলের বিমান কোথাও দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি। কীভাবে এমন ঘটনাটি ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিমানের দু’টি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে বলে অনুমান।