কলকাতা : মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশন থেকে বন্যা-পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ফের কেন্দ্রকে একহাত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্ষার মরশুমে প্লাবিত ঘাটাল-সহ মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। এমতাবস্থায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বিধানসভায় বিবৃতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুষলেন কেন্দ্রের দীর্ঘসূত্রিতাকে। বাতলে দিলেন সমস্যার সমাধানের উপায়।
এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, ”ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করার কথা অনেক আগে। তা তো করেইনি। আমরাই কাজ শুরু করেছি। ১৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে। দু থেকে তিন বছর সময় লাগবে। মানসদা তো কেলেঘাই-কপালেশ্বরী প্রকল্পের জন্য ২০ বার চিৎকার করেছেন। তাও ওরা করে দেয়নি। আমরাই সেই কাজ করেছি। এখনও ঘাটালও করছি। এতে মেদিনীপুরের মানুষের ভালো হবে। বর্ষার সময় আর জলে ভাসতে হবে না। কাজ এগোচ্ছে।” মানুষের বসত উচ্ছেদ যাতে না হয়, সে কারণে প্রয়োজনে রুট ঘুরিয়ে দেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
পাশাপাশি, মঙ্গলবার মমতা সাফ জানান, রাজ্যে বারবার বন্যা হচ্ছে ‘ম্যানমেড’ কারণেই। ডিভিসিকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। কেন্দ্রের বিভিন্ন জলপ্রকল্প নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সিকিমে ১৪টি জলপ্রকল্প করে তিস্তার গতিরোধ নিয়ে বলেন, ”তিস্তার শ্বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্ষার মরশুমে সিকিম থেকে জল ঢুকছে বাংলায়। নেপাল থেকেও জল ঢুকছে।” ভুটানের সঙ্গে যে আন্তর্জাতিক জল কমিশন রয়েছে, সেই ভারত-ভুটান আন্তর্জাতিক জল কমিশনে বাংলার প্রতিনিধি না থাকা নিয়েও অসন্তুষ্ট মমতা। “ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশনে বাংলার প্রতিনিধি চাই”, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।