পুরী : সামনেই রথযাত্রা। তার প্রাকলগ্নেই ফের চাঞ্চল্য ছড়াল ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। কিছুদিন আগেই খুন হয়েছিলেন এক সেবায়েত। এবার ফের ঘটল আরও এক অঘটন। চুরি গেল জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার ভেষজ ওষুধ! এমনই অভিযোগ তুলছেন খোদ জগন্নাথ মন্দিরের বর্ষীয়ান সেবায়েত হলধর দাসমহাপাত্র। যা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ বলে দাবি তাঁর। ইতিমধ্যেই মন্দির প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
জগন্নাথ মন্দিরের ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথম। পুরীর মন্দিরের কক্ষে দেবতাদের ওষুধ থাকে। সেখানেই রাখা হয় দশমূল মোদক (বিশেষ ভেষজ ওষুধ)। সেবায়েত হলধর দাসমহাপাত্রের অভিযোগ, শ্রীক্ষেত্রের ওই ঘর থেকে চুরি গিয়েছে ৭০টি মোদক।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেবতাদের চিকিৎসার জন্য ৩১৩টি দশমূল মোদক তৈরি করেছিলেন রাজবৈদ্য। যা রাখা ছিল নির্দিষ্ট কক্ষটিতে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী মনে করা হয়, স্নানযাত্রার পর জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা অসুস্থ হন। তাঁদের ব্যাধি ঠিক হয় এই ওষুধেই।
গত ১১ জুন সম্পূর্ণ হয়েছে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা। তিন দেব-দেবী রথযাত্রার দিন ফের সামনে আসবেন। তার আগে ২১ জুন, একাদশীর রাতে হলধর দাসমহাপাত্র দেবতাদের চিকিৎসার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দেখেন, ৭০টি মোদক উধাও! তারপরই তিনি বিষয়টি মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে জানান। সোমবার লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
হলধর দাসমহাপাত্র জানান, “এটি গুরুতর এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। মন্দিরের ইতিহাসে এমন কখনও ঘটেনি। মন্দির প্রশাসক কমিটির উচিত এই ঘটনার তদন্ত করে অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া। প্রয়োজনে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হোক।” অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের এক কর্মকর্তা। তিনি জানিয়েছেন, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চলছে অভ্যন্তরীণ তদন্ত। রথযাত্রার আগে এহেন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ছড়িয়েছে শোরগোল।