কলকাতা : সোমবার বিজেপি বিধায়কদের সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন। তবে সেই বাধা-বিপত্তির মাঝেই পাশ হয়ে গেল ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় বিল। (Sports University Bill)যা বাংলার ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Read More: অচেতন না করেই খাঁচার মধ্যে ইউএসজি পরীক্ষা ‘বাঘিনী’র, উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ আলিপুর চিড়িয়াখানায়
এদিন অধিবেশন শুরু হতেই অশান্তি তৈরি করেন বিজেপি বিধায়করা। ৪ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করে রীতিমতো মার্শাল ডেকে অধিবেশন কক্ষের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। তারপর অধিবেশনে নেতাজি সুভাষ ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হয় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় সেই বিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্যাম্পাস হবে হুগলির চুঁচুড়ায়। অত্যাধুনিক ট্রেনিং ব্যবস্থা থেকে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা, থাকবে সব ব্যবস্থাই।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ‘দ্য নেতাজি সুভাষ ইউনিভার্সিটি অফ স্পোর্টস অ্যান্ড অন্ত্রপ্রনিরশিপ বিল–২০২৫’পেশ করেন।(Sports University Bill)বিল পাশের পর তিনি বলেন, “সন্তোষ ট্রফিতে যারা পুরস্কার নিয়ে এল, তাদের শুধু চাকরি দেওয়া নয়। ভাতা, স্কলারশিপ দিয়ে সেই খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলা খেলাধুলোয় এগিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ তার উন্নয়নের ইনডেক্স।” এটি দেশের প্রথম বেসরকারি ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় বলেই জানিয়েছেন তিনি।
ব্রাত্যর কথায়, “ব্যক্তিগত বা বেসরকারি উদ্যোগে খেলোয়াড় তৈরি করা যায়। সরকার সেটাকে লালন করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগকে উৎসাহ দিয়েছেন, তা আর কেউ করেনি। ৭০-৮০ সালের সময় আমাদের ফুটবলাররা দেশ রাজ্য কাঁপিয়ে রেখেছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফুটবল যে জায়গায় চলে গেছে, আমাদের এখন সেই মাপের খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে খেলোয়াড়দের বিশ্বের ময়দানে ছড়িয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও উৎসাহ চাই।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1937156399756398880?t=STDUu5_yXNHiVHvLeb1jaw&s=19
পাশাপাশি, বিরোধীদের কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি শিক্ষামন্ত্রী। বলেন, “বিজেপি এই খেলা নিয়ে আলোচনা করবেন না বলে তাদের ক্রীড়া দেখাল মার্শালকে। মার্শালও তাঁর ক্রীড়া দেখালেন বিজেপিকে।” রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় সরকারকেও একহাত নেন তিনি। “এর আগে ৩টে বিল রাজভবনের হিমঘরে পড়ে আছে। জানি না, এই বিলটার কী হবে? কারণ কেন্দ্রের সরকার তো চায় না এই দেশের খেলাধুলোর গোলাপ ছড়িয়ে পড়ুক গোটা বিশ্বে”, বক্তব্য ব্রাত্যর।