আহমেদাবাদ : ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে আহমেদাবাদে দুর্ঘটনার কবলে পড়া এয়ার ইন্ডিয়া ড্রিমলাইনার বিমানের ব্ল্যাক বক্স দু’টি।(Black Box) তবে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলি। আদৌ ওই ব্ল্যাক বক্স থেকে কোনও তথ্য উদ্ধার করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
Read More: দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার আগমন, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কোন কোন জেলায়! জানাল হাওয়া অফিস
শোনা যাচ্ছে, ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধারে সেটিকে আমেরিকায় পাঠানো হতে পারে। দুর্ঘটনার একদিন পরে বিমানটির একটি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হয়। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয় দুর্ঘটনার তিন দিন পর। শুক্রবার যে হস্টেলের ছাদে বিমানটি আছড়ে পড়েছিল, সেখান থেকে প্রথম ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয় ধ্বংসস্তুপের নিচে। দুটি ব্ল্যাকবক্সই(Black Box) পাঠিয়ে দেওয়া হয় ডিজিসিএর কাছে। কিন্তু সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার জেরে দু’টি ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে একটি ভালোমতোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় প্রযুক্তিতে ওই ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধার সম্ভব হচ্ছে না। সেটিকে সম্ভবত আমেরিকায় পাঠাতে হবে। ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড ওই ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করবে। সঙ্গে আমেরিকায় যাবেন ভারতীয় আধিকারিকরাও।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1935655558482415719
প্রসঙ্গত, সব প্লেনেই দু’রকমের ব্ল্যাক বক্স রাখা থাকে। একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর), অপরটি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। কোনও দুর্ঘটনা হলে এই দুই রেকর্ডিং থেকে কী ঘটেছিল, তার একটা ধারণা পান তদন্তকারীরা। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ড থেকে পাওয়া অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের হিসেব, বিমানের অভিমুখ, গতিবেগ এমন মোট ৮০ রকমের তথ্য পাওয়া যায়। যাতে জলে কিংবা আগুনে তথ্য নষ্ট না হয়, সেজন্য প্রথমে মেটালিক স্ট্রিপে রেকর্ড হত বিমানের ভিতরের সব ঘটনা। বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাগনেটিক ড্রাইভ এবং মেমরি চিপ রাখা হয় ব্ল্যাক বক্সে।